আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর আমি কিছু দিন আগে একজন মুফতি থেকে তালাকের মাসালা জিজ্ঞাসা করি ত অনি বলেন বিয়ের আগে তালাক হইনাহ কিন্তু যদি শর্তযুক্ত তালাক দেই যে বিয়ে করলে তালাক তাহলে বিয়ে করার সাথে সাথে তালাক হয়ে যাবে অনি উত্তর টা দেওয়ার কিছুখন পর থেকে আমার হঠাত করেই সন্দেহ শুরু হল আমি আবার এইভাবে শর্তযুক্ত তালাক দিয়ে দিলাম নাকি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে এমন তাহলে ত আমার বিয়ের সাথে সাথে আমার তালাক হয়ে যাবে। আবার মনে হচ্চে না আমি এইগুলা বলিনাই এইগুলা শয়তান ওয়াস ওয়াসা কিন্তু আমি একবার বলতাসি মনে হই বলসি এমন আবার মনে হচ্চে না এমন কিছুই বলিনাই আমি কোন ভাবেই হুজুর sure/ নিশ্চিত হতে পারছি না আমি কি বলসি আসলেই নাকি আমি এমন কিছুই বলিনাই নাকি বলসি আমি অনেক চিন্তাই পরে গেছি। আমি চাইনাহ মরার পরে আল্লাহর সামনে পাপি বা গুনাহগার হয়ে দারাই   কারন যদি এমন আল্লাহ মাফ করুক বলে থাকি তাহলে আমার কইকদিন পরে বিয়ে হবে তো যদি আমি যার সাথে বিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকি তাহলে ত বিয়ের সাথে সাথে তালাক হইয়ে যাবে আর আমরা অজান্তেই হারামে থাকব। হুজুর আমি আরও OCD রোগি যার জন্য বেশি চিন্তা হচ্চে কি বলসি কি বলিনাই আমি কোন ভাবেই নিশ্চিত হতে পারছি না।
হুজুর দয়া করে আমাকে সমধান দিবেন আমার এমন চিন্তা আর সন্দেহ নিয়ে ? আর আমাকে বলবেন যে আমি আপনাকে যে বললাম প্রশ্ন গুলা আর এইকথা গুলা এইতে আমার কোন সমস্যা হবে নাকি হবে নাহ ?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by



আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম, হুজুর আমি একদিন একজন মুফতি হুজুর কে তালাক আর মাসালা জিজ্ঞাসা করি অনি বলেন বিয়ের আগে তালাক হইনাহ কিন্তু শর্ত যুক্ত তালাক দিলে নাকি বিয়ে করলেই সাথে সাথে তালাক। অনি উত্তর টা দেওয়ার কিছু খন পর থেকে হঠাত করেই আমার মনে হচ্চে আমি এমন কিছু বলসি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে আবার তার পরে আবারও কিছুখন পরে মনে হচ্চে না আমি এমন কিছুই বলিনাই। আমার কইদিন পরে বিয়ে আমি তাই বার বার মনে অনেক সন্দেহ হচ্চে আমি যার সাথে বিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বললাম নাকি এমন শর্ত যুক্ত কিছু যদি বলেই থাকি তাহলে ত আমার বিয়ের পরে তালাক হয়ে যাবে আবার বলি না আমি এমন কিছু বলিনাই আমি কোন ভাবেই sure/নিশ্চিত হতে পারতাসিনাহ আমি আসলে কোনটা বলসি। যদি বলে থাকি তাহলে ত বিয়ের পরে অজান্তেই আমরা হারামে থাকব আর আখিরাতে পরে আল্লাহর সামনে গুনাহগার বা পাপি হয়ে দাড়াব। হুজুর আমি আরও OCD রোগি যার জন্য কোন ভাবেই নিশ্চিত হতে পারছিনা। একবার মনে হই হইত বলসি আবার পরে অনেক বেশি মনে হই না আমি এমন বলিনাই আমার কইকদিন পরে বিয়ে তাই অনেক চিন্তা হচ্চে ।

তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি বিয়ে টা দুইবার করব মানে ১মে বিয়ে পরানর কিছুখন পরে আবার যথা নিয়মে দুজন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল করব যেন সন্দেহ ও আর না হই আর আমি নিশ্চিত হয় আমার বিবাহটার মধ্যে আর কোন সমস্যা নেই আমরা এখন শরীয়ত হিসেবেও আল্লার কাছে বৈধ ।


আর আমাকে মুফতি সাহেব যখন মাসালা বলল যে কিভাবে কি করলে আপনার তালাক হয় না বা বিয়ের আগে কিভাবে বললে তালাক হই পড়তেছিলাম মানে হুজুরে যে উত্তরটা দিয়েছে উত্তরটা দেখে দেখে তখন আমার স্মরণে আমি যার সাথে বিয়ে হবে তার কথা মনে আসছিল মনে আসছিল কিন্তু আমি জানি অধ্যায়ন করার সময় বা পড়ার সময় কারো কথা স্মরণে আসলে বা মনে আসলে এবং সেটা উচ্চারণ করে পড়লে কোন তালাক বা কিছু হয় না কারণ এখানে ইচ্ছাটা বা উদ্দেশ্যটা অস্পষ্ট এতটুকু হুজুর আমার জানা আছে। আর হুজুর আমি যাতে আপনাকে বললাম যে যখন মাসালা জানলাম জানার কিছুক্ষণ পর থেকে আমার মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমি এখনো বলতেছি আমি জানি না কি বলেছি বা আদৌ বলেছি কিনা পুরোপুরি সন্দেহজনক। মুফতি সাহেব যখন আমাকে বলল এবং আমি উনি যেভাবে বলেছে উনি তো আমাকে বলেছে যে বিয়ের আগে যদি এমন শর্ত দেওয়া হয় যে যাকে বিয়ে করবো বা তাকে ইঙ্গিত করে যদি বলি সাথে সাথে তালাক হবে আমার কথাটা হচ্ছে হুজুর এখন যে আমি যদি মনে মনে বলি এবং মুখ দিয়ে কোন শব্দ ছাড়া যদি ঠোঁট নাড়ানোর মাধ্যমে যদি আমি একটু বলার ট্রাই করি কিন্তু আমি কোন প্রকারের শব্দ ছাড়াই করলাম আমার কান পর্যন্ত কোন শব্দ আসেনি যে আমি সেটা স্পষ্টভাবে বুঝবো যে আমি মুখ দিয়ে বলেছি কিন্তু নরমালি মুখ দিয়া মনের মধ্যে যা ছিল সেটা আমি মিন মিন করে ঠোঁট নাড়ানোর মাধ্যমে যদি বলে থাকি কিন্তু কান পর্যন্ত কোন আমার শব্দ আসিনি। সে ক্ষেত্রে কি কোন তালাক হবে ? 



১.হুজুর আমাকে সমাধান দিবেন আমার এই চিন্তা আর সন্দেহ নিয়ে অনেক কষ্টে আছি ?


২. প্রথমবার বিবাহ করার কিছুক্ষণ পরে আবার দুজন সাক্ষী সামনে যথা নিয়মে কি ২য় বার করা বিবাহটা কবুল হবে আমার মধ্যে এই সন্দেহটা আছে যে যদি প্রথমটা না হয়ে থাকে অর্থাৎ যদি এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যদি প্রথম বিয়ের সাথে সাথে তালাকটা হয়ে থাকে আমি তো জানতেই পারবোনা গুনাহগার হতে থাকবো অজান্তেই । তো আমার যদি প্রথমটা হয়ে থাকে তালাক বিয়ে সহিহ হওয়ার পরে পরপরই সেটা পড়ে যাবে । আমি পুনরায় আবার ওটা যেন হয়ে থাকলেও যেন আমি কোনো গুনাহ গার না হয় সে উদ্দেশ্যেই আমি ১ম বার বিয়ে করার কিছুক্ষণ পরে যথা নিয়মে আবার ইজাব কবুল করলাম দুই সাক্ষীর সামনে রেখে সে ক্ষেত্রে কি ২য় বার আমার বিয়েটা কবুল হবে।



হুজুর বিস্তারিত আপনাকে সব কিছুই আমি বলে দিলাম আর কিছু বাকি নেই আমাকে একটা সমাধান দিবেন এর জন্য।



আর হুজুর আমি আপনাকে বলার আগে এইটা আমি আমার ট্রান্সলেশন এর মধ্যে এটা বললাম যাতে আপনাকে এসব বলতে সুবিধা হয় মানে আপনাকে যেন আমি বুঝাতে পারি সে উদ্দেশ্যে আমি কথাগুলো লিখলাম যেন আপনাকে সেন্ড করতে সুবিধা হয় আমার এতে কি কোন প্রকারের সমস্যা হবে।



হুজুর আমি খুব শীঘ্রই আমার ওসিডি/ওয়াসওয়াসার এই সমস্যার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে শরণাপন্ন হব। এখন এ সমাধানটা দিলে আশা করি আমার এই বিষয় নিয়ে মাথা হালকা করে ফেলতে পারব ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...