ফাতিমাহ বিনতু কাইস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ، ثُمَّ خَرَجَ، فَقَالَ: " إِنَّهُ حَبَسَنِي حَدِيثٌ كَانَ يُحَدِّثُنِيهِ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ عَنْ رَجُلٍ كَانَ فِي جَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ الْبَحْرِ، فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ تَجُرُّ شَعْرَهَا، قَالَ: مَا أَنْتِ؟ قَالَتْ: أَنَا الْجَسَّاسَةُ، اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْقَصْرِ، فَأَتَيْتُهُ، فَإِذَا رَجُلٌ يَجُرُّ شَعْرَهُ، مُسَلْسَلٌ فِي الْأَغْلَالِ، يَنْزُو فِيمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا الدَّجَّالُ، خَرَجَ نَبِيُّ الْأُمِّيِّينَ بَعْدُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: أَطَاعُوهُ أَمْ عَصَوْهُ؟ قُلْتُ: بَلْ أَطَاعُوهُ، قَالَ: ذَاكَ خَيْرٌ لَهُمْ "
অনুবাদ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে ‘ইশার সালাত পড়তে বিলম্ব করলেন। তিনি (ঘর থেকে) বেরিয়ে এসে বললেনঃ তামীম আদ-দারী আমার নিকট যে ঘটনা বর্ণনা করেছে সেটিই আমাকে আটকে রেখেছে। সে সমুদ্রের উপদ্বীপের জনৈক ব্যক্তির সূত্রে আমাকে বলেছে, হঠাৎ আমি একটি স্ত্রীলোককে দেখতে পেলাম যে, সে তার চুল টানছে। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কে? সে বললো, আমি গুপ্তচর, তুমি ওই প্রসাদে যাও।অতঃপর আমি সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম, জনৈক ব্যক্তি তার কুঞ্চিত কেশ টানছে, সে মজবুত শিকলে বাঁধা অবস্থায় আকাশ ও যমীনের মাঝখানে ছটফট করছে। আমি বললাম, তুমি কে? সে বললো, আমি তো দাজ্জাল। নিরক্ষরদের নবী এখন আবির্ভূত হয়েছেন কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। সে বললো, লোকেরা তাঁকে মান্য করছে নাকি অমানস্য করছে? আমি বললাম, তারা বরং মান্য করছে। সে বললো, এটাই তাদের জন্য কল্যাণকর–(সুনানে আবূ দাঊদ, হাদিস নং ৪৩২৫)
হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) তামীমে দারীর (রাঃ) ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তামীমে দারী (রাঃ) বলেছেন, সেই দ্বীপে প্রবেশ করলে আমি সেখানে একটি নারীর সাক্ষাৎ পেলাম যার মাথার চুল এত যে, তা জমিনে হিচড়িয়ে চলে।
তামীম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি ‘জাসসাসা’ (অর্থাৎ অন্বেষণকারিণী)। অতঃপর সে বলল তুমি প্রসাদের দিকে যাও। সুতরাং আমি সেখানে আসলাম সেখানে লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে, শক্তভঅবে লোহার শিকলে বাঁধা- আসমান জমিনের মাঝখানে লাফালাফি করছে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুই কে? সে বলল আমি দাজ্জাল।–সুনানে আবূ দাঊদ, হাদিস নং ৪৩২৭
আরো জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/11076
★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দাজ্জালকে আটকে রাখা না হলে সে দুনিয়াতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিশৃংখলা সৃষ্টি করতো।
তাই তাকে আটকে রাখা হয়েছে।
(০২)
আদম আঃ কে জান্নাতেই ক্ষমা করা হয়নি।
দুনিয়াতে এসে তওবা ইস্তেগফারের দরুনই তাদেরকে ক্ষমা করা হয়েছিলো।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
ক, ঈসা আঃ নতুন শরীয়ত ও নতুন কিতাব নিয়েই এসেছিলেন।
খ, যেহেতু তিনি নতুন কিতাব নিয়ে এসেছিলেন,নাহী আনিল মুনকারের জন্যও প্রেরিত হয়েছিলেন,তাই তিনি রাসুল।
গ,
শেষ জামানায় হযরত ঈসা আঃ আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাঃ এর উম্মত হয়েই আসবেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ حِيْنَ اَتَاهُ عُمَرُ فَقَالَ اِنَّا نَسْمَعُ اَحَادِيْثَ مِنْ يَّهُوْدَ تُعْجِبُنَا اَفَتَرى اَنْ نَّكْتُبَ بَعْضَهَا فَقَالَ أَمُتَهَوِّكُوْنَ اَنْتُمْ كَمَا تَهَوَّكَتِ الْيَهُوْدُ وَالنَّصَارى لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً وَلَوْ كَانَ مُوْسى حَيًّا مَّا وَسِعَه إِلَّا اتِّبَاعِيْ. رَوَاهُ أَحْمَدُ والْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبُ الاِيْمَانِ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন ‘উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, আমরা ইয়াহূদীদের নিকট তাদের অনেক ধর্মীয় কথাবার্তা শুনে থাকি। এসব আমাদের কাছে অনেক ভালো মনে হয়। এসব কথার কিছু কি লিখে রাখার জন্য আমাদেরকে অনুমতি দিবেন? রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইয়াহূদী ও নাসারাগণ যেভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, তোমরাও কি (তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে) এভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছ? আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের কাছে একটি অতি উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ দ্বীন নিয়ে এসেছি। মূসা (আঃ)-ও যদি আজ দুনিয়ায় বেঁচে থাকতেন, আমার অনুসরণ ব্যতীত তাঁর পক্ষেও অন্য কোন উপায় ছিল না। মিশকাত, হাদীস নং- ১৭৭ হাদিসের মান : হাসান হাদিস
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শেষ জামানায় হযরত ঈসা আঃ আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাঃ এর উম্মত হয়েই আসবেন।