ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোরআন মজীদ তিলাওয়াতের স্তর চারটি।
(১) তারতীল (২) হদর এবং (৩) তাদবীর।
(১) তারতীল
মদ ও গুন্নাহ পরিপূর্ণভাবে আদায় করে, ধীর- স্থীরে কোরআন মজীদ পড়াকে তারতীল বলে।
(২) তাহক্বীক
তারতীল থেকেও আরো ধীরসুস্থে তিলাওয়া করা যেমন বিভিন্ন জলসা অনুষ্টানে ক্বারী সাহেবগণ তিলাওয়াত করে থাকেন।
(৩)হদর
তাজবীদের নিয়ম কানুন রক্ষা করে, একটু দ্রুত কোরআন মজীদ পড়াকে হদর বলে।
(৪) তাদবীর
তারতীল এবং হদরের মাঝামাঝি ধরনের পড়াকে তাদবীর বলে।
সর্বোত্তম তিলাওয়াত তারতীল। যেমন কুরআনে কারীমে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে। (সূরা মুযাম্মিল-৪)
ফরয ওয়াজিব নামাযে তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াত উত্তম ও উচিৎ। সুন্নত এবং নফল নামাযে তাদবীর বা হদর যেকোনো এক পদ্ধতিতে পড়া যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ধীরে ধীরে তিলাওয়াত করা উত্তম। নামাজে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত এর সময় যেভাবে ধীরে ধীরে তিলাওয়াত করা হয়, অন্য সময় কোরআন পড়লে তারচেয়েও দ্রুত পড়া যাবে।
রাসুল সা: ধীরসুস্থে তিলাওয়াত
(২)তাহাজ্জুদ নামাজের ক্ষেত্রে আপনার হাতে যদি ২০ মিনিট সময় থাকে, তাহলে ২ রাকাআত নামাজ পড়াই ই্ ইত্তম