ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(৩)
যাচাইবাচাই না করে, নিচক ধারণার উপর ভিত্তি করে কন্টেইন তৈরী করা জায়েয হবে না।
আল্লাহ বলেন,
وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ
অর্থাৎ, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। (সূরা ইসরা ৩৬)
তিনি বলেছেন,
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَولٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
অর্থাৎ, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করুক না কেন, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে। (ক্বাফ ১৮)
(এ মর্মে মহান আল্লাহর এ বাণীও অনেকে উল্লেখ করে থাকেন, হে বিশ্বাসীগণ! যদি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ন করে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখ; যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আঘাত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।) (সূরা হুজুরাত-৪৯:৬)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ كَفَى بِالمَرْءِ كَذِباً أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ رواه مسلم
(২৯৫১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে (বিনা বিচারে) তা-ই বর্ণনা করে।’’ (মুসলিম ৭)
অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, ’’মানুষের পাপ হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে যা শোনে, তাই প্রচার করে বেড়ায়।’’ (আবূ দাঊদ ৪৯৯৪, হাকেম ৩৮১)
ইবনে অহহাব বলেন, আমাকে মালিক বলেছেন, ’’জেনে রাখ যে, যে মানুষ প্রত্যেক শ্রম্নত কথাই বর্ণনা করে সে নিরাপদে থাকে না এবং যা শোনে তাই বর্ণনা করলে সে কস্মিনকালেও ইমাম হতে পারে না।’’ (সহীহ মুসলিমের ভূমিকা)