আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
হোস্টেল এ আমাকে হিন্দু রুমমেট সাথে দেওয়া হয়েছে।চারজন মুসলিম এর সাথে একজন হিন্দু। রুমমেট দেয়ালে কোনো ছবি ঝুলানি শুধু তার টেবিলে কিছু জিনিস রেখেছে তার টেবিলটি এক কোনায়। এমনভাবে রাখা হয়েছে।যদি আমি ওইদিকে তাকায় শুধু একটা ছুরির মতো কিছু একটা দেখা যায়।না তাকালে কিছু দেখা যায়। আমার সাইড কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া যাবে যাতে না দেখা যায় তাকালেও।

টেবিলটি তিন তাক বিশিষ্ট ও দুই নাম্বার তাকে জিনিস রেখেছে যাতে না দেখা যায়।আমাদের রুম পরিবর্তন করারো কোনো সুযোগ নেই

এমন অবস্থায় কি আমাদের নামাজ হবে।মেয়েটি আমার বিপরীত সাইড।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ صحيح

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।
(আবু দাউদ ২৭৭৮ ইফাঃ)

وَعَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً إِلَى خَثْعَمَ فَاعْتَصَمَ نَاسٌ مِنْهُمْ بِالسُّجُودِ فَأَسْرَعَ فِيهِمُ الْقَتْلَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ لَهُمْ بِنِصْفِ الْعَقْلِ وَقَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُشْرِكِينَ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ؟ قَالَ: «لَا تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

জারীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খস্’আম সম্প্রদায়ের মুকাবিলায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী পাঠালেন। অতঃপর উক্ত সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক আত্মরক্ষার জন্য সাজদারত হলো, কিন্তু দ্রুতবেগে তাদেরকে হত্যা করা হলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মৃত ব্যক্তির উত্তারাধিকারীদেরকে অর্ধেক দিয়াত (রক্তপণ) পরিশোধ করার জন্য হুকুম দিয়ে বললেন, যে সকল মুসলিমরা মুশরিকদের মাঝে বসবাস করে, আমার ওপর তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। সাহাবীগণ জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসূল, এরূপ কেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেননা তাদের উচিত ছিল অনতিদূরে অবস্থান করা, যাতে একে অপরের আগুন পর্যন্ত দৃষ্টিপাত না হয়।
(আবূ দাঊদ ২৬৪৫, তিরমিযী ১৬০৪,মিশকাত ৩৫৪৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
বেডমেট যদি হিন্দু হয় তাহলে একসাথে থাকা যাবেনা।
রুমের মধ্যে কোনো অমুসলিম থাকলে সেই রুমে থাকাই জায়েজ নেই।

মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকে কখনো শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।
এটা পুরোপুরি নাজায়েজ।     

বিস্তারিত জানুনঃ 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য ঐ রুমে থাকা কোনোক্রমেই জায়েজ নেই। 
থাকলে সেক্ষেত্রে গুনাহ হবে। 

এখন রইলো ঐ রুমে নামাজ আদায়ের মাসয়ালাঃ-
শরীয়তের বিধান হলো ছবি যুক্ত ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাযীর মাথার উপর সামনে ডানে, বায়ে এবং জুতোর মধ্যে এবং সিজদার স্থানে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরিমী হবে|
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি সেই টেবিলের নিকট গিয়ে দেখবেন যে সেখানে কোনো প্রানীর ছবি বা প্রানীর মূর্তি আছে কিনা,থাকলে সেই রুমে নামাজ আদায় করলে যদিও নামাজ হয়ে যাবে,তবে সেটা মাকরুহ হবে।

আর যদি টেবিলের নিকট যাওয়ার পর দেখেন যে সেখানে প্রানীর ছবি বা প্রানীর মূর্তি নেই,সেক্ষেত্রে সেই রুমে নামাজ আদায় করতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
হুজুর আমি যদি অন্য রুমে নামাজ পড়ি আর আমার রুমে থাকি এবং অন্যান্য ইবাদত গুলো করি জিকির কুরআন তিলাওয়াত তাহলে হবে কি? 
by (565,890 points)
এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 

হবে সেই রুমে থাকা আপনার জন্য কোনো ক্রমেই জায়েজ নেই।
by (4 points)
আল্লাহর দয়ায় রুম ওইদিনই এ পরিবর্তন করতে পেরেছি।আলহামদুলিল্লাহ।জাযাকাল্লাহু খাইরান।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...