জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ।অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
তাই বলা যায় যে,এসমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না। কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।
এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে। কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা।
যদি কোনো কারণে ঐ সব সুদী ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একান্ট খোলা দুস্কর হয়ে যায়, তাহলে সুদ গ্রহণ না করার শর্তে তাতে সেভিংস একাউন্ট খুলে টাকা রাখা যাবে।উলামায়ে কেরাম এ অনুমোদন দিয়েছেন।
সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/753
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রয়োজনের ভিত্তিতে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যাবে।সেভিংস একাউন্ট খোলার পর যে সুদ আসে, উক্ত সুদকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
কেহ কেহ ব্যবসা বাণিজ্য করেন।
কেহ কেহ টাকা দিয়ে জমি,স্বর্ণ ক্রয় করেন।
কেহ কেহ তাহা ফ্ল্যাট বাসা নির্মানে ব্যয় করেন।
দীর্ঘমেয়াদে বাসা নির্মানের কাজ করেন,কিছু টাকা জমলেই তাহা দিয়ে কাজ করেন,আবার কাজ বন্ধ রাখেন।
এভাবেই বছরের পর কাজ চলতেই থাকে।
কেহ কেহ ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন।
তবে সুদ উত্তোলন করে তাহা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দেন।
(০২)
বিকল্প ব্যবস্থা এখনো হয়ে উঠেনি।
(০৩)
ফকিহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান রহঃ সহ দেশের বিজ্ঞ কিছু ফুকাহায়ে কেরামগন দেশের নির্ভরযোগ্য কিছু ইসলামী ব্যাংকের শরীয়াহ বোর্ড এর দায়িত্বে থেকে তারা নিরলস ভাবে সুদ মুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করেছেন,চেষ্টার ধারা অব্যাহতও রেখেছেন।
যদিও পূর্ণ সফলতা আসেনি,তবে একদিন পূর্ণ সফলতা আসবে,ইনশাআল্লাহ।