কুরআনের হক সমূহঃ-
★ঈমান আনা।
★বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা এবং তা শেখা ফরজ।
★বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা কুরআনের অন্যতম হক। এই নির্দেশনা কুরআনে এসেছে এভাবে : ‘তোমার প্রতি যে কিতাব ওহি হিসেবে অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত করো।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
★কুরআনের আরেকটি হক হলো তা অন্যকে শিক্ষা দেওয়া।
★কুরআন হিফজ করা।
★কুরআনের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করা কুরআনের অন্যতম দাবি।
★কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবন গড়া।
পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কুরআন প্রতিষ্ঠিত করা।
★কুরআনের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ! فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ "فِي شَهْرٍ". قَالَ: إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ - يُرَدِّدُ الْكَلَامَ أَبُو مُوسَى - وَتَنَاقَصَهُ حَتَّى قَالَ " اقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ". قَالَ : إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ "لَا يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَهُ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ"
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কয়দিনে কুরআন খতম করবো? তিনি বললেনঃ এক মাসে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে অধিক শক্তি রাখি। আবূ মূসার বর্ণনায় রয়েছে অতঃপর আলোচনার মাধ্যমে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে অবশেষে বললেন, সাত দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়েও বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করে, সে কুরআনকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না।
(তিরমিযী (অধ্যায় : ক্বিরাআত, হাঃ ২৯৪৯, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ) আবু দাউদ ১৩৯০, ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ কতদিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব, হাঃ ১৩৪৭), নাসায়ী ‘সুনানুল কুবরা’ (অধ্যায় : ফাযায়িলি কুরআন, অনুঃ কতদিনে কুরআন পড়বে, হাঃ ৮০৬৭)।
الموسوعة الفقھیة الکویتیة: (59/33، ط: وزارة الاوقاف کویت)
روي عن أبي حنيفة رحمه الله تعالى أنه قال: من قرأ القرآن في السنة مرتين فقد قضى حقه.
আবু হানিফা রহঃ থেকে বর্ণিত আছে যে৷ যে ব্যাক্তি বছরে দুইবার কুরআন পড়বে,সে কুরআনের হক আদায় করলো।