আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমি নামাজ পড়ি নিয়মিত ফজরের নামাজটা মিস যায় প্রায়ই,আর কুরআন পড়া হয় না রমজান মাস ছাড়া।আমি পড়ালেখায় আল্লাহর রহমতে ভালো,কিন্তু আমার ইদানিং অহেতুক চিন্তা আসে খালি,নামাজে মন থাকে না সেগুলোর কারণে।গতকাল আমার মাথায় আসলো যে,আমার মাথার ব্রেইন নষ্ট করে দিক আমি খালি নামাজ পড়বো,কুরআন পড়বো,কিন্তু আমি এমনটা চাই না।বারবার মাথার ব্রেইন নষ্ট করে দিক একথাটাই মাথায় আসছে,এখন আমি কি করবো?আমার কিছুতেই মন বসছে এই চিন্তা দূর হচ্ছে না,আমার মাথার ব্রেইন কি নষ্ট হয়ে যেতে পারে?আল্লাহর কাছে কিভাবে চাইতে পারি যাতে মাথার ব্রেইন ঠিক থাকে?কেননা আমি সফল ব্যাক্তি হতে চাই অনেক পড়াশোনা করতে চাই,সাথে আল্লাহরও ইবাদত করতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের হক সমূহঃ-
★ঈমান আনা।
★বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা এবং তা শেখা ফরজ।
★বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা কুরআনের অন্যতম হক। এই নির্দেশনা কুরআনে এসেছে এভাবে : ‘তোমার প্রতি যে কিতাব ওহি হিসেবে অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত করো।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
★কুরআনের আরেকটি হক হলো তা অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। 
★কুরআন হিফজ করা।
★কুরআনের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করা কুরআনের অন্যতম দাবি। 
★কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবন গড়া।
পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কুরআন প্রতিষ্ঠিত করা।
★কুরআনের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ! فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ "فِي شَهْرٍ". قَالَ: إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ - يُرَدِّدُ الْكَلَامَ أَبُو مُوسَى - وَتَنَاقَصَهُ حَتَّى قَالَ " اقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ". قَالَ : إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ "لَا يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَهُ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلَاثٍ" 

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কয়দিনে কুরআন খতম করবো? তিনি বললেনঃ এক মাসে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে অধিক শক্তি রাখি। আবূ মূসার বর্ণনায় রয়েছে অতঃপর আলোচনার মাধ্যমে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে অবশেষে বললেন, সাত দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়েও বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করে, সে কুরআনকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না।
(তিরমিযী (অধ্যায় : ক্বিরাআত, হাঃ ২৯৪৯, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ) আবু দাউদ ১৩৯০, ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ কতদিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব, হাঃ ১৩৪৭), নাসায়ী ‘সুনানুল কুবরা’ (অধ্যায় : ফাযায়িলি কুরআন, অনুঃ কতদিনে কুরআন পড়বে, হাঃ ৮০৬৭)।

الموسوعة الفقھیة الکویتیة: (59/33، ط: وزارة الاوقاف کویت)
روي عن أبي حنيفة رحمه الله تعالى أنه قال: من قرأ القرآن في السنة مرتين فقد قضى حقه.
সারমর্মঃ-
আবু হানিফা রহঃ থেকে বর্ণিত আছে যে৷ যে ব্যাক্তি বছরে দুইবার কুরআন পড়বে,সে কুরআনের হক আদায় করলো।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি কুরআনের হক আদায় করছেননা। আপনাকে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। অন্তর পরিশুদ্ধির জন্য হলেও প্রত্যহ কুরআন তিলাওয়াত করবেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মাথার ব্রেইন নষ্ট হয়ে যাবেনা। এটা নিয়ে টেনশন বাদ দিন।
এগুলো ওয়াসওয়াসা জনিত বিষয়। 

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল করতে পারেনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...