বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
wine vinegar এক প্রকার সিরকা যা খাদ্যকে সুস্বাদু করতে খাদ্যর সাথে মিশানো হয়।
এই প্রকৃতির পানীয়র বিধি-বিধান বুঝতে হলে আমাদের কে সিরকা সম্পর্কীয় মূলনীতি মূলক কিছু আলোচনা প্রথমে বুঝতে হবে।যা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
সিরকা যদি হালাল খাদ্য যেমন আপেল-আঙ্গুর ইত্যাদি থেকে তৈরী করা হয়,এবং তাতে নিশা না হয় তাহলে তা হালাল।এক্ষেত্রে কোনো প্রকার বিধিনিষেধ নেই।এবং দিধাগ্রস্ততাও নেই। যেমনঃ
★আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗُﻞ ﻻَّ ﺃَﺟِﺪُ ﻓِﻲ ﻣَﺎ ﺃُﻭْﺣِﻲَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣُﺤَﺮَّﻣًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﺎﻋِﻢٍ ﻳَﻄْﻌَﻤُﻪُ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﻣَﻴْﺘَﺔً ﺃَﻭْ ﺩَﻣًﺎ ﻣَّﺴْﻔُﻮﺣًﺎ ﺃَﻭْ ﻟَﺤْﻢَ ﺧِﻨﺰِﻳﺮٍ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺭِﺟْﺲٌ ﺃَﻭْ ﻓِﺴْﻘًﺎ ﺃُﻫِﻞَّ ﻟِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺑِﻪِ ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺿْﻄُﺮَّ ﻏَﻴْﺮَ ﺑَﺎﻍٍ ﻭَﻻَ ﻋَﺎﺩٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ
তরজমাঃ
আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু।সূরাঃআন আ'ম-১৪৫;
★হাদীস শরীফে এসেছে
হযরত সালমান ফারসী রাযি.থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺠﺒﻦ ﻭﺍﻟﻔﺮﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ : ( ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﻣﺎ ﺳﻜﺖ ﻋﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﺎ ﻋﻔﺎ ﻋﻨﻪ )
ভাবার্থঃ
নবীজী সাঃ কে ঘী,পণীর,এবং জঙ্গলি গাধা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃহালাল সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা উনার কিতাবে হালাল করে দিয়েছেন।এবং হারাম সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে হারাম করে দিয়েছেন।আর যেগুলোর বিধি-বিধান বর্ণনা করেননি,তা হালাল বিধানের-ই অন্তর্ভূক্ত। (জা'মে তিরমিযি-১৭২৬)
ঐ সিরকা যা মদ থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বানানো হয়েছে।
সে সম্পর্কে কিছুটা মতপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
মদ সিরকায় পরিণত হওয়ার দু'টি মাধ্যম হতে পারে।
প্রথমতঃ
মদ যদি কোনো রকম প্রক্রিয়াকরণ ব্যতীত নিজে নিজেই সিরকায় পরিণত হয় এবং মদের মৌলিকত্ব দুর হয়ে যায়,তাহলে তা সমস্ত ফুকাহায়ে কেরামদের দৃষ্টিতে বৈধ।যেমনঃ
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ( ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳَﺄَﻝَ ﺃَﻫْﻠَﻪُ ﺍﻟْﺄُﺩُﻡَ ، ﻓَﻘَﺎﻟُﻮﺍ : ﻣَﺎ ﻋِﻨْﺪَﻧَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺧَﻞٌّ ، ﻓَﺪَﻋَﺎ ﺑِﻪِ ، ﻓَﺠَﻌَﻞَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﺑِﻪِ ، ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﺄُﺩُﻡُ ﺍﻟْﺨَﻞُّ ، ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﺄُﺩُﻡُ ﺍﻟْﺨَﻞُّ )
ভাবার্থঃ
একবার নবীজী সাঃ নিজ ঘরে তরকারি দেওয়ার জন্য বললেন,তখন তারা বললেন আমাদের কাছে সিরকা ব্যতীত আর কিছু নেই।নবীজী সাঃ বললেন,তাহলে সিরকা দাও।এবং নবীজী সাঃ খেতে আরম্ভ করলেন,ও বললেন,সিরকা কতইনা উত্তম তরকারি,সিরকা কতইনা উত্তম তরকারি।(সহীহ মুসলিম-২০৫২)
দ্বিতীয়তঃ
মদকে যদি কোনো প্রকার প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সিরকায় পরিণত করা হয়,তাহলে তা বৈধ কি না এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিণ করা যায়,যথা-
(১)ইমাম শা'ফী রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ এর মতে বৈধ হবে না।
(২)ইমাম আবু হানিফা রাহও ইমাম মালিক রাহ এর মতে তা বৈধ হবে।
ইমাম শা'ফী রাহও ইমাম আহমদ রাহ দ্বয়ের দলীল হচ্ছে নিম্নরূপঃ যেমন হাদীস শরীফে এসেছে
হযরত আনাস রাযি.থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺗﺘﺨﺬ ﺧﻼً، ﻗﺎﻝ : ﻻ
ভাবার্থঃ নবীজী সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, মদ থেকে কি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সিরকা বানানো যাবে? প্রতিউত্তরে তিনি বললেনঃ না, বানানো যাবে না।(সহীহ মুসলিম-১৯৮৩)
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ : ﺃﻥ ﺃﺑﺎ ﻃﻠﺤﺔ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺃﻳﺘﺎﻡ ﻭﺭﺛﻮﺍ ﺧﻤﺮﺍً؟ ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﻫﺮﻗﻬﺎ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﻓﻼ ﻧﺠﻌﻠﻬﺎ ﺧﻼ؟ ﻗﺎﻝ : ﻻ .
ভাবার্থঃ হযরত আবু তালহা রাযি.নবীজী সাঃ কে ঐ সমস্ত ইয়াতিদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যারা বংশীয়ভাবে মদের ওয়ারিছ হয়েছিলো,তখন নবীজী সাঃ বললেনঃ তোমরা মদকে ঢেলে দাও।তখন তারা বলেছিলোঃ হে রাসুলুল্লাহ!আমরা কি উক্ত মদকে সিরকা বানাতে পারবো?নবীজী সাঃ প্রতিউত্তরে বললেনঃনা পারবে না। {সুনানে আবু-দাউদ-৩৬৭৫}
ইমাম আবু হানিফা রাহও ইমাম মালিক রাহ এর দলীল হচ্ছে,যেমনঃ
হযরত আবু দারদা রাঃ বলেন,
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮﺍﻟﺪَّﺭْﺩَﺍﺀِ، ﻓِﻲ ﺍﻟﻤُﺮِﻱ : « ﺫَﺑَﺢَ ﺍﻟﺨَﻤْﺮَ ﺍﻟﻨِّﻴﻨَﺎﻥُ ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲُ »
ভাবার্থঃ মাছ ও সূর্যের তাপ মদকে হালাল করে দেয়। {বুখারী-২/৯৬}
ইবনুল আসীর রাহ বলেন,
" ﺍﻟﻨﻴﻨﺎﻥ ﺟﻤﻊ ﻧﻮﻥ ﻭﻫﻲ ﺍﻟﺴﻤﻜﺔ ، ﻭﻫﺬﻩ ﺻﻔﺔ ﻣُﺮْﻯ ﻳُﻌﻤﻞ ﺑﺎﻟﺸﺎﻡ ، ﺗﺆﺧﺬ ﺍﻟﺨﻤﺮ ، ﻓﻴﺠﻌﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﻤﻠﺢ ﻭﺍﻟﺴﻤﻚ ، ﻭﺗﻮﺿﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﻤﺲ ، ﻓﺘﺘﻐﻴﺮ ﺍﻟﺨﻤﺮ ﺇﻟﻰ ﻃﻌﻢ ﺍﻟﻤﺮﻱ ، ﻓﺘﺴﺘﺤﻴﻞ ﻋﻦ ﻫﻴﺌﺘﻬﺎ ﻛﻤﺎ ﺗﺴﺘﺤﻴﻞ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺨَﻠِّﻴَّﺔ . ﻳﻘﻮﻝ : ﻛﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﻴﺘﺔ ﺣﺮﺍﻡ ، ﻭﺍﻟﻤﺬﺑﻮﺣﺔ ﺣﻼﻝ ، ﻓﻜﺬﻟﻚ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺷﻴﺎﺀ ﺫﺑﺤﺖ ﺍﻟﺨﻤﺮَ ﻓﺤﻠﺖ ، ﻓﺎﺳﺘﻌﺎﺭ ﺍﻟﺬﺑﺢ ﻟﻺﺣﻼﻝ "
সারমর্ম
ইবনুল আসীর রাহ এর আলোচনার সারমর্ম হল,যেভাবে প্রাণীকে জবেহ করার মাধ্যমে হালাল করা যায়,ঠিকতেনিভাবে মদকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে হালাল করা যাবে।
{আন-নেহায়া-২/৩৮২}
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত।
ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : « ﺧَﻴْﺮُ ﺧَﻠِّﻜُﻢْ ﺧَﻞُّ ﺧَﻤْﺮِﻛُﻢ«ْ
ভাবার্থঃ রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-উত্তম সির্কা সেটা, যেটি মদ থেকে বানানো হয়।{মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী,হাদীস নং-১১৭২৩}
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোল্লিখিত আয়াত ও পরস্পর বিরোধী হাদীস সমূহকে সামনে রেখে ফুকাহায়ে কেরামগণ ইজতেহাদ ও গবেষনার মাধ্যমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তাবলী গ্রহণ করেছেন। যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া নামক বিশিষ্ট গ্রহণযোগ্য ফাতাওয়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়,
والخمر إذا صارت خلا، ودخل فيها بعض الحموضة، ولكن فيها بعض المرارة لا تكون خلا عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - حتى تذهب المرارة وعندهما بقليل الحموضة يحل هذا إذا تخلل بنفسه
أما إذا خلله بعلاج بالملح أو بغيره يحل عندنا الكل في شرح الطحاوي.
ভাবার্থঃ মদ যদি নিজে নিজেই সিরকায় পরিণত হয়,এবং তাতে কিছুটা তিক্ততা চলে আসে,কিন্তু এখনো তাতে কিছুটা মদের মৌলিকতত্ত্ব রয়ে গেছে,তাহলে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মতে তা সিরকায় পরিণত হিসেবে ধর্তব্য হবে না,যতক্ষণ না পুরো মৌলিকত্ব দূর হবে।
ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে সামান্যতম তিক্ততা চলে আসলে তা সিরকায় পরিণত হবে।কিন্তু লবন বা অন্যকিছু দ্বারা যদি মদকে পরিবর্তন করা হয়,তাহলে তা সর্বাবস্থায় বৈধ হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০
ঠিকতেমিভাবে শামীতে উল্লেখ রয়েছে।
وَلَوْ خُلِطَ الْخَلُّ بِالْخَمْرِ وَصَارَ حَامِضًا يَحِلُّ، وَإِنْ غَلَبَ الْخَمْرُ وَإِذَا دَخَلَ فِيهِ بَعْضُ الْحُمُوضَةِ لَا يَصِيرُ خَلًّا عِنْدَهُ، حَتَّى يَذْهَبَ تَمَامُ الْمَرَارَةِ وَعِنْدَهُمَا يَصِيرُ خَلًّا كَمَا فِي الْمُضْمَرَاتِ،
রদ্দুল মুহতার-৬/৪৫১
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
ওয়াইন ভিনেগার সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি যে,তা মদকে পক্রিয়াকরণের মাধমে তৈরী করা হয়।
যদি ওয়াইন ভিনেগারে মদের মৌলিকত্ব না থাকে তাহলে তা বৈধ হবে।অর্থাৎ ওয়াইন ভিনেগার পান করা হালাল হবে।কিন্তু যদি তাতে মদের মৌলিকত্ব বিদ্যমান থাকে তাহলে তা হলাল হবে না।
মৌলিকত্ব মানে মূল উপাদন,যেমন লবনের মৌলিকত্ব লবনাক্ততা,চিনির মৌলিকত্ব মিষ্টতা।
যারা মদ সম্পর্কে জ্ঞাত বা যাদের এ সম্পর্কে পূর্বে জানাশোনা ছিলো কিংবা এখনো রয়েছে এমন কাউকে দিয়ে পরীক্ষা করালেই বুঝা যাবে যে,তাতে মদের মৌলিকত্ব রয়েছে কি না?
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জিনিষ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুক। আমীন।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
`````````````````
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ