আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
reopened by
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ

আজ মাগরিবের নামাজে ইমাম সাহেব ১ম রাকাতে সূরা আবাসার প্রথম দুই-আয়াত পড়ে রুকুতে চলে যান? পরে নামাজ শেষে নামাজ হয়নি ধরে তা আবার দোহরান অবশ্যই, তবে সুন্নত পড়েন, দোহরানোর পর সেই সুন্নত আর পড়েন নি, এতে কি মাগরিবের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আদায় হয়েছে?(যেটা ফরজের পরে আদায়ের কথা ছিলো, আগে আদায় করেছেন, ভূলটার পর(যদি ভূল হয়ে থাকে)-এবং সঠিক ফরজটার আগে!)

এতে দুটি প্রশ্ন,

১। নামাজের প্রতি রাকাতে কতটুকু পরিমাণ কিরাত পড়লে নামাজ আদায় হবে? এক জায়গায় দেখলাম তিন আয়াত পরিমাণ যার প্রতি আয়াতে নুন্যতম ১০অক্ষর থাকবে!-এ অনুযায়ী তো নামাজ না হওয়ারই কথা,(এতে কি পূর্বের ফরজ নামাজটি আদায় হয়েছিলো?)

২। এর ফলে পূর্বের ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত যারা আদায় করেছিলো, পরে আবার ফরজ নামাজ দোহরানোর দরুন এই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কি আবার পড়া লাগবে?

বিস্তারিত মাস'আলা দলীলসহ জানানোর অনুরোধ,

جزاك الله خيرا أستاذ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কেউ ফরয নামাযের পর সুন্নত নামায পড়ে নেয়, অতঃপর তার সামনে পরিস্কার হয়,যে তার ফরয নামাযে ত্রুটি ছিলো, এবং সে ফরয নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়, তাহলে তাকে সুন্নততে বা'দিয়াকে দোহড়িয়ে নিতে হবে। আর ওয়াক্ত চলে গেলে শুধুমাত্র ফরযকে দোহড়িয়ে নিলেও চলবে।
الهداية شرح البداية - (1 / 74):
"و على هذا إذا صلى العشاء ثم توضأوصلى السنة والوتر ثم تبين أنه صلى العشاء بغير طهارة فعنده يعيد العشاء والسنة دون الوتر لأن الوتر فرض على حدة عنده."
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع - (3 / 70):
"و على هذا الاختلاف إذا صلى الوتر على ظن أنه صلى العشاء ثم تبين أنه لم يصل العشاء يصلي العشاء بالإجماع و لايعيد الوتر عنده."
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر - (1 / 216):
 "و لو صلى العشاء بلا وضوء حال كونه ناسيًا ثم صلى السنة و الوتر به أي بالوضوء يعيد السنة لإعادة العشاء إذ لم يصح أداء السنة قبل الفرض مع أنها أديت بالوضوء لأنها تبع الفرض."

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে সুন্নত নামাযকে দোহড়ানো উচিৎ ছিলো। তবে যেহেতু ওয়াক্ত চলে গেছে, তাই এখন আর সুন্নতকে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(২)
সূরায়ে ফাতেহার পর ছোট তিনটি আয়াত বা বড় একটি আয়াত বা আয়াতের অংশ তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। কুরআনে কারীমের সবচেয়ে ছোট তিন আয়াত হল এই,
{ثُمَّ نَظَرَ (21) ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ (22) ثُمَّ أَدْبَرَ وَاسْتَكْبَرَ (23)} [المدثر: 21]
এখানে দশটি আলফাজ বা শব্দ রয়েছে। হরফের সংখ্যা সর্বমোট ত্রিশ। অর্থাৎ ত্রিশটি আয়াত পড়ে নিলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 458):
"(وضم) أقصر (سورة) كالكوثر أو ما قام مقامها، هو ثلاث آيات قصار، نحو {ثم نظر} [المدثر: 21] {ثم عبس وبسر} [المدثر: 22] {ثم أدبر واستكبر} [المدثر: 23] وكذا لو كانت الآية أو الآيتان تعدل ثلاثاً قصاراً، ذكره الحلبي (في الأوليين من الفرض) وهل يكره في الأخريين؟ المختار لا (و) في (جميع) ركعات (النفل) لأن كل شفع منه صلاة (و) كل (الوتر) احتياطاً.
 (قوله: تعدل ثلاثاً قصاراً) أي مثل - {ثم نظر} [المدثر: 21]- إلخ وهي ثلاثون حرفاً، فلو قرأ آيةً طويلةً قدر ثلاثين حرفاً يكون قد أتى بقدر ثلاث آيات، لكن سيأتي في فصل يجهر الإمام: أن فرض القراءة آية وأن الآية عرفاً طائفة من القرآن مترجمة أقلها ستة أحرف ولو تقديراً كلم يلد إلا إذا كانت كلمةً فالأصح عدم الصحة اهـ ومقتضاه أنه لو قرأ آية طويلةً قدر ثمانية عشر حرفاً يكون قد أتى بقدر ثلاث آيات. وقد يقال: إن المشروع ثلاث آيات متوالية على النظم القرآني مثل {ثم نظر} [المدثر: 21] إلخ ولايوجد ثلاث متوالية أقصر منها، فالواجب إما هي أو ما يعدلها من غيرها لا ما يعدل ثلاثة أمثال أقصر آية وجدت في القرآن، ولذا قال: تعدل ثلاثاً قصاراً، ولم يقل: تعدل ثلاثة أمثال أقصر آية. على أن في بعض العبارات تعدل أقصر سورة، فليتأمل! وسنذكر في فصل الجهر زيادة في هذا البحث (قوله: ذكره الحلبي) أي في شرحه الكبير عن المنية. وعبارته: وإن قرأ ثلاث آيات قصاراً أو كانت الآية أو الآيتان تعدل ثلاث آيات قصار خرج عن حد الكراهة المذكورة يعني كراهة التحريم. قال الشارح في شرحه عن الملتقى: ولم أره لغيره وهو مهم فيه يسر عظيم لدفع كراهة التحريم. اهـ. قلت: قد صرح به في الدرر أيضاً حيث قال: وثلاث آيات قصار تقوم مقام السورة وكذا الآية الطويلة اهـ ومثله في الفيض وغيره. وفي التتارخانية: لوقرأ آية طويلة كآية الكرسي أو المداينة البعض في ركعة والبعض في ركعة اختلفوا فيه على قول أبي حنيفة، قيل: لايجوز؛ لأنه ما قرأ آيةً تامةً في كل ركعة، وعامتهم على أنه يجوز؛ لأن بعض هذه الآيات يزيد عن ثلاث قصار أو يعدلها فلاتكون قراءته أقل من ثلاث آيات اهـ وهذا يفيد أن بعض الآية كالآية في أنه إذا بلغ قدر ثلاث آيات قصار يكفي"


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 729 views
...