ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ্র নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যাক্তি হবে, যে স্ত্রীর সাথে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।” (মুসলিম)
আসমা বিন্তে ইয়াযিদ (রঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) এর নিকট ছিলাম, আর তার সেখানে অনেক পুরুষ ও মহিলা বসেছিল। তিনি বললেন, “সম্ভবতঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে, তা (অপরের কাছে) বলে থাকে এবং সম্ভবতঃ কোন মহিলা নিজ স্বামীর সাথে যা করে, তা (অপরের নিকট) বলে থাকে?” এ কথা শুনে মজলিসের সবাই কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থেকে গেল। আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ। আল্লাহ্র কসম, হে আল্লাহ্র রাসুল! মহিলারা তা বলে থাকে এবং পুরুষেরাও তা বলে থাকে।’ অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা এরূপ করো না। যেহেতু এমন ব্যক্তি তো সেই শয়তানের মত, যে কোন নারী শয়তানকে রাস্তায় পেয়ে সঙ্গমে করতে লাগে, আর লোকেরা তার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে।” (আহমাদ, ইবনে আবী শাইবাহ, আবূ দাঊদ, বাইহাকী প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ১৪৩ পৃঃ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বিনা জরুরতে স্বামী স্ত্রীর সহবাস নিয়ে অন্যকে জানানো জায়েয হবে না। এবং শোনাও জায়েয হবে না। হ্যা, প্রয়োজনে বলা যেতে পারে, তখন শোনাও যাবে। গোনাহ হবে না।
(২) ধরনের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে যদি কেউ বা দুইজন ব্যক্তি personali কথা বলে। তাহলে অন্য জন্য শোনা জায়েয হবে না। সুতরাং আপনার ফুফাতো বোনের জন্য এরকম আলোচনা শোনা জায়েয হয়নি। সেটা শুনতে পেয়ে আপনাকে বলাটাও জায়েয হয়নি।এতে গুনাহের সম্ভাবনা থেকে যায়।