ইদানীং এক শ্রেণীর মানুষের কাছে কুরবানির পশুর ছবি ও বেশি বেশি জবাই ও কসাইগিরির ছবি দেয়া অনেক উত্তম কাজ। এতে নাকি ভিন্নমতালম্বীদের পশ্চাতে বেশি আঘাত করা হয়। মূলত ভিন্ন ধর্ম ও মতালম্বীদের টার্গেট করে তাদের খোচা মেরে এ ধরণের পোস্ট বেশি করা হয়। অথচ, আমার কাছে এগুলো অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ লাগে। কারণ,
১। কুরবানি আমার কাছে আনন্দের পাশাপাশি বেদনার ও বিষয়। কারণ, পশুর যন্ত্রণা আমি সহ্য করতে পারিনা। আল্লাহর রাস্তায় ত্যাগ অবশ্যই খুশির বিষয় কিন্তু তাতে ব্যথিত হওয়া টা ও উচিত মনে করি।
২। এভাবে বেশি বেশি কুরবানির ছবি পোস্ট করা, কসাইগিরির ছবি পোস্ট করা নৃশংসতা কে প্রমোট করে মনে হয়।
৩। রাসুল (সা.) বা সাহাবিগণ বিধর্মীদের খোচা দেয়ার উদ্দেশ্যে কিছু করেছেন বলে জানা নেই।
এজন্য কুরবানি আমি প্রকাশ্যে দিব কিন্তু ফেসবুকে প্রচার করার বিরোধী কারণ এতে অমুসলিমরা ইসলাম কে নৃশংস ভাবতে পারে।
একজন একটা পোস্ট দিয়েছে এমন:
কুরবানির পশু, মাংসের ছবি ইত্যাদি বেশি বেশি পোস্ট করুন। শাহবাগীদের পশ্চাতদেশে আগুন লাগিয়ে দিন।
হালালে আবার সরম কিসের??
গরীব দু:খীর কষ্ট পাওয়ার অযুহাত দেখালে বলবেন, "ইসলাম কুরবানির পশুর মাংস গরীব দু:খীদের সাথে ভাগাভাগি করে খাওয়ার শিক্ষাই দিয়েছে। আমরাও তাদেরকে দিয়ে এবং সাথে নিয়েই খাই।
আলহামদুলিল্লাহ।
এ পোস্টের প্রথম তিনটা লাইন যথেষ্ট আপত্তিজনক। যা ইসলামের শিক্ষার সাথে যায়না বলে মনে করি।
আমার প্রশ্ন:
১। উপরোক্ত পোস্ট বা চিন্তাধারা বা কার্যকলাপ কি ইসলাম অনুমোদন করে?
২। আমার চিন্তাধারা কি ইসলাম সমর্থন করে?