আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

চেহারা ঢাকা তো ফরজ। এখন অনেক দেশেই ঈদের সালাত পুরুষ-মহিলা একসাথে পড়ে থাকে। তখন মহিলারা কীভাবে চেহারার পর্দা করবে? নামাজের সময় তো হাত-মুখ খোলা রাখতে হয়। আর হজ্জের সময় আলাদা ক্যাপ পড়ে কাপড় দিয়ে চেহারা ঢেকে রাখলেও নামাজের সময় কীভাবে সিজদা করে বা চেহারা খোলা রাখে? তখন গায়রে মাহরামদের সামনে চেহারা উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় নয় কি! আর ক্যাপ পড়ে থাকলো সিজদা কীভাবে করে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

মহিলাদের জন্য পুরুষ এর সাথে তওয়াফ করা জায়েজ ও প্রমানিত আছে।
কিন্তু মহিলাদের জন্য উচিত হলো,এমন সময় তওয়াফ করা,যখন মানুষের ভীর কম হয়,এবং পুরুষ দের থেকে পৃথক হয়ে কিনারা হয়ে তওয়াফ করবে,এবং পর্দার খেয়াল রাখবে।

বুখারী শরীফে এসেছেঃ- 

بَاب طَوَافِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ
পুরুষের সঙ্গে নারীদের তাওয়াফ করা।

و قَالَ لِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ إِذْ مَنَعَ ابْنُ هِشَامٍ النِّسَاءَ الطَّوَافَ مَعَ الرِّجَالِ قَالَ كَيْفَ يَمْنَعُهُنَّ وَقَدْ طَافَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَعَ الرِّجَالِ قُلْتُ أَبَعْدَ الْحِجَابِ أَوْ قَبْلُ قَالَ إِي لَعَمْرِي لَقَدْ أَدْرَكْتُهُ بَعْدَ الْحِجَابِ قُلْتُ كَيْفَ يُخَالِطْنَ الرِّجَالَ قَالَ لَمْ يَكُنَّ يُخَالِطْنَ كَانَتْ عَائِشَةُ تَطُوفُ حَجْرَةً مِنْ الرِّجَالِ لاَ تُخَالِطُهُمْ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ انْطَلِقِي نَسْتَلِمْ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ انْطَلِقِي عَنْكِ وَأَبَتْ يَخْرُجْنَ مُتَنَكِّرَاتٍ بِاللَّيْلِ فَيَطُفْنَ مَعَ الرِّجَالِ وَلَكِنَّهُنَّ كُنَّ إِذَا دَخَلْنَ الْبَيْتَ قُمْنَ حَتَّى يَدْخُلْنَ وَأُخْرِجَ الرِّجَالُ وَكُنْتُ آتِي عَائِشَةَ أَنَا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهِيَ مُجَاوِرَةٌ فِي جَوْفِ ثَبِيرٍ قُلْتُ وَمَا حِجَابُهَا قَالَ هِيَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ لَهَا غِشَاءٌ وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذَلِكَ وَرَأَيْتُ عَلَيْهَا دِرْعًا مُوَرَّدًا
[ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন] আমাকে ‘আমর ইবনু ‘আলী (রহ.) ..... থেকে ইবনু জুরাইজ (রহ.) বর্ণনা করেন যে, ‘আত্বা (রহ.) বলেছেন, ইবনু হিশাম (রহ.) যখন মহিলাদের পুরুষের সঙ্গে তাওয়াফ করতে নিষেধ করেন, তখন ‘আত্বা (রহ.) তাঁকে বললেন, আপনি তাদের কী করে নিষেধ করেছেন, অথচ নবী সহধর্মিণীগণ পুরুষদের সঙ্গে তাওয়াফ করেছেন? [ইবনু জুরাইজ (রহ.) বলেন] আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, তা কি পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরে, না পূর্বে? তিনি [‘আত্বা (রহ.)] বললেন, হাঁ, আমার জীবনের কসম, আমি পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরের কথাই বলছি। আমি জানতে চাইলাম পুরুষগণ মহিলাদের সাথে মিলে কিভাবে তাওয়াফ করতেন? তিনি বললেন, পুরুষগণ মহিলাগণের সাথে মিশে তাওয়াফ করতেন না। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বরং পুরুষদের পাশ কাটিয়ে তাওয়াফ করতেন, তাদের মাঝে মিশে যেতেন না। এক মহিলা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-কে বললেন চলুন, হে উম্মুল ‘মু’মিনীন! আমরা তওয়াফ করে আসি। তিনি বললেন, ‘‘তোমার মনে চাইলে তুমি যাও’’ আর তিনি যেতে অস্বীকার করলেন। তাঁরা রাতের বেলা পর্দা করে বের হয়ে (সম্পূর্ণ না মিশে) পুরুষদের পাশাপাশি থেকে তাওয়াফ করতেন। উম্মুল মু’মিনীনগণ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে চাইলে সকল পুরুষ বের করে না দেয়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়ে থাকতেন। ‘আত্বা (রহ.) বলেন, ‘উবাইদ ইবনু ‘উমাইর এবং আমি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর কাছে গেলাম, তিনি তখন ‘সবীর’ পর্বতে অবস্থান করছিলেন। [ইবনু জুরাইজ (রহ.) বলেন] আমি বললাম, তখন তিনি কি দিয়ে পর্দা করছিলেন? ‘আত্বা (রহ.) বললেন, তখন তিনি পর্দা ঝুলান তুর্কী তাঁবুতে ছিলেন, এছাড়া তাঁর ও আমাদের মাঝে অন্য কোন কিছু ছিল না। (অকস্মাৎ দৃষ্টি পড়ায়) আমি তাঁর গায়ে গোলাপী রং-এর চাদর দেখতে পেলাম।
(বুখারী শরীফ ১৬১৮.আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ ৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ পরিচ্ছেদ ১০২৪)

হযরত আয়েশা রা. থেকে বার্ণিত আছে, তিনি বলেন-

كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْرِمَاتٌ، فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا عَلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.

ইহরাম অবস্থায় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের পাশ দিয়ে যেত তখন আমরা আমাদের চাদর মাথায় সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। আর চলে যাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৮৩৩)

ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মহিলারা মাথা ক্যাপ বা এ জাতীয় এমন কিছু বেঁধে নিবে যে,যার উপর দিয়ে মাথা থেকে কাপড় ছেড়ে দিলে উক্ত কাপড় চেহারা কে স্পর্শ না করে নিচের দিকে চলে যাবে।চেহারা বলতে মুখের ঐ অংশ যা অজুতে ধৌত করা হয়ে থাকে।অর্থাৎ কপালের উপরাংশের চুল থেকে নিয়ে থুতনি পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৪/৩৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যখন গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সামনে কোনো মহিলা নামাজ আদায় করবে,তখন সে পূর্ণ চেহারা পর্দা করবে।
নতুবা ফরজ লঙ্ঘনের গুনাহ হবে।

হজ্বের মধ্যে আমাদের মাযহাবে মহিলাদের জন্য হোটেলে নামাজ আদায়ের তাগিদ দেয়া হয়।
তবে ঘটনাক্রমে কেহ যদি মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করে,সেক্ষেত্রে তো নারীদের দাড়ানোর আলাদা স্থানেই সে ক্যাপ পড়ে দাঁড়াবে,তো এমতাবস্থায় গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে অনেকটাই চেহারাকে হেফাজতে রাখতে পারবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
0 votes
1 answer 128 views
...