কুরবানীতে অবৈধ বেতন( ব্যাংক/এনজিওর চাকুরি) যুক্ত হয়েছে জানলে করণীয়

Question

১. এনজিওতে চাকুরি করা কি বৈধ?


২. কেউ কুরবানির শেয়ার হওয়ার সময় একজন এনজিও(সুদভিত্তিক) থেকে প্রাপ্ত বেতন দ্বারা শেয়ার হলে ঐ কুরবানীর মাংস কি কারও জন্য হালাল হবে?সেটা যদি সমজের বন্টনের মাঝে যুক্ত হয়?

এক্ষেত্রে করণীয় কি?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

সুদ হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.

যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা-২)

সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি
كل قرض جر نفعا فهو ربا

প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এনজিওতে যদি সুদের লেনদেন হয়, সেক্ষেত্রে এনজিওতে চাকুরি করা অবৈধ।  ইনকামও হারাম হবে।

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/95480/

(০২)

কেউ কুরবানির শেয়ার হওয়ার সময় একজন এনজিও(সুদভিত্তিক) থেকে প্রাপ্ত বেতন দ্বারা শেয়ার হলে ঐ কুরবানীতে যারা হালাল টাকায় শরীক হয়েছে,তাদের সংখ্যাই যেহেতু বেশি,তাই হালাল টাকায় শরীক যারা হয়েছে,তাদের জন্য তাদের অংশের গোশত হালাল হবে।

★সেটা যদি সমাজের বন্টনের মাঝে যুক্ত হয়,সেক্ষেত্রে সমাজের অধিকাংশদের গোশত যেহেতু হালাল ইনকাম হতে,তাই সেই সমাজের গোশত নেয়া যাবে।

তবে ধনীদের জন্য সর্বাবস্থায় সমাজের গোশত না নেয়া বা নিলেও পরবর্তীতে তাহা কোনো গরিবকে দেয়া বাঞ্চনীয়।

https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,

فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع

যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)