জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ حَنَشٍ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ»
হযরত হানশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাঃ কে দেখলাম তিনি দু’টি বকরী কুরবানী করলেন। আমি তাকে বললাম, এটি কি? [আপনার উপরতো একটি আবশ্যক ছিল কিন্তু আপনি দু’টি করলেন কেন?] তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে অসিয়ত করেছেন তার পক্ষ থেকে কুরবানী করতে। এ কারণে আমি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করছি। {আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯০}
★রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজেও উম্মতের জন্য কুরবানী দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِكَبْشٍ أَقْرَنَ يَطَأُ فِي سَوَادٍ وَيَنْظُرُ فِي سَوَادٍ وَيَبْرُكُ فِي سَوَادٍ فَأُتِيَ بِهِ فَضَحَّى بِهِ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ هَلُمِّي الْمُدْيَةَ " . ثُمَّ قَالَ " اشْحَذِيهَا بِحَجَرٍ " . فَفَعَلَتْ فَأَخَذَهَا وَأَخَذَ الْكَبْشَ فَأَضْجَعَهُ وَذَبَحَهُ وَقَالَ " بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ " . ثُمَّ ضَحَّى بِهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা্ঃ) এরূপ দুম্বা কুরবানী করতে নির্দেশ দিয়েছেন,যার দুটি শিং হবে নিখুঁত, আর পেট, বক্ষদেশ এবং পা হবে কাল রংয়ের। অতঃপর এরূপ দুম্বা তাঁর নিকট আনা হলে, তিনি বলেনঃ হে ‘আয়শা! ছুরি নিয়ে এস। পরে তিনি বলেনঃ একে পাথরের উপর ঘষে ধারাল কর। অবশেষে তিনি ছুরি নেন এবং দুম্বাকে ধরে যমীনে শুইয়ে দেন এবং তাকে যবাহ করার সময় এ দু‘আ পাঠ করেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ
অর্থাৎ আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। ইয়া আল্লাহ্! আপনি এক মুহাম্মাদ, আলে মুহাম্মদ এবং উম্মতে মুহাম্মদ- এর পক্ষে কবুল করূন। অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দুম্বাকে কুরবানী করেন।
(আবু দাউদ ২৭৮৩)
আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে কুরবানী দিতে পারবো। যেহেতু তিনি উম্মতের জন্য কুরবানী দিতেন,তাই আমাদেরও তার পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া উত্তম কাজের মধ্যেই পড়ে।
,
তবে সেক্ষেত্রে নবিজী সাঃ এর নামে আলাদা ভাগ দিতে হবে।
আমাদের উপর যেটি ওয়াজিব,সেটা আমাদের পক্ষ থেকে।
আর নবিজী সাঃ এর নামে আলাদা ভাগ দিতে হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার নিজের উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে আগে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করবেন,তারপর চাইলে আরেকটি পশু দিয়ে বা কুরবানীর গরুর আরেকটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাগ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে দিতে পারেন।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে কুরবানী দেয়া আবশ্যক কোনো কাজ নয়।
বরং কেউ দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে দিতে পারে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর তো ছওয়াবের প্রয়োজনীয়তা নেই,তবে তার নামে কুরবানী দেয়ার দরুন কুরবানী দাতা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর অনেক নিকটতম উম্মত হবে,ইনশাআল্লাহ।