আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (6 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ,আমার এইটাই প্রথম কুরবানি এবং তা রসূল(সা:) এর পক্ষ থেকে আদায় করতেছি । একজন আমাকে এইটার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলো আল্লাহর রসূল(সা:) এর তো আমলের অভাব নাই ওনার পক্ষ থেকে কেনো আদায় করতে হবে এবং এটি একটি দূর্বল হাদিস । আমাদের আমল কম সওয়াবের আশায় আমাদের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব । আল্লাহর রসূল(সা:) পক্ষ থেকে আদায় করা সুন্দর দেখায় নাহ ।কুরবানি পক্ষ এর নাম উল্লেখ করা জরুরী নয় তবুও শরিক দারের নাম লিখা লাগে সে ক্ষেত্রে আমি উপোরোক্ত হাদিস জানার পর পরই বিয়ত করি আমি আল্লাহর রসূল(সা:) পক্ষ থেকে কুরবানি আদায় করবো । কিন্তু এতে এখন অনেক প্রশ্ন আসতেসে ওনি ত কুরবানি দিয়েছে ওনার তো অনেক সওয়াব আছেই।। কথা হচ্ছে কুরবানি সওয়াব লাভের আশায় করলে তাহলে ওনার অভাব নেই তো ওনাকে সওয়াব দেয়ার মানে কি  ?
এমন অদ্ভুদ প্রশ্ন শুনে বুঝত্বসিনা কিভাবে বুঝাই ।
এই ব্যালারে আমাকে একটু ইলম দান করার উসিলা হোন দ্রুত জানাবেন আমাদের কুরবানি তো কাল

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/47061/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ حَنَشٍ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ»

হযরত হানশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাঃ কে দেখলাম তিনি দু’টি বকরী কুরবানী করলেন। আমি তাকে বললাম, এটি কি? [আপনার উপরতো একটি আবশ্যক ছিল কিন্তু আপনি দু’টি করলেন কেন?] তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে অসিয়ত করেছেন তার পক্ষ থেকে কুরবানী করতে। এ কারণে আমি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করছি। {আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯০}

★রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজেও উম্মতের জন্য কুরবানী দিয়েছেন।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِكَبْشٍ أَقْرَنَ يَطَأُ فِي سَوَادٍ وَيَنْظُرُ فِي سَوَادٍ وَيَبْرُكُ فِي سَوَادٍ فَأُتِيَ بِهِ فَضَحَّى بِهِ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ هَلُمِّي الْمُدْيَةَ " . ثُمَّ قَالَ " اشْحَذِيهَا بِحَجَرٍ " . فَفَعَلَتْ فَأَخَذَهَا وَأَخَذَ الْكَبْشَ فَأَضْجَعَهُ وَذَبَحَهُ وَقَالَ " بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ " . ثُمَّ ضَحَّى بِهِ صلى الله عليه وسلم .

‘আয়শা (রাঃ)  থেকে  বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা্ঃ)  এরূপ  দুম্বা  কুরবানী  করতে  নির্দেশ  দিয়েছেন,যার  দুটি  শিং  হবে  নিখুঁত,  আর  পেট,  বক্ষদেশ  এবং  পা  হবে  কাল  রংয়ের।  অতঃপর  এরূপ  দুম্বা  তাঁর  নিকট  আনা  হলে,  তিনি  বলেনঃ  হে  ‘আয়শা!  ছুরি  নিয়ে  এস।  পরে  তিনি  বলেনঃ  একে  পাথরের  উপর  ঘষে  ধারাল  কর।  অবশেষে  তিনি  ছুরি  নেন  এবং  দুম্বাকে  ধরে  যমীনে  শুইয়ে  দেন  এবং  তাকে  যবাহ  করার  সময়  এ  দু‘আ  পাঠ  করেনঃ 

بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ

অর্থাৎ  আমি  আল্লাহর  নামে  শুরু  করছি।  ইয়া  আল্লাহ্!  আপনি  এক মুহাম্মাদ,  আলে  মুহাম্মদ  এবং  উম্মতে  মুহাম্মদ-  এর  পক্ষে  কবুল  করূন।  অতঃপর  তিনি  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  উক্ত  দুম্বাকে  কুরবানী  করেন।
(আবু দাউদ ২৭৮৩)

আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে কুরবানী দিতে পারবো। যেহেতু তিনি উম্মতের জন্য কুরবানী দিতেন,তাই আমাদেরও তার পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া উত্তম কাজের মধ্যেই পড়ে।
,
তবে সেক্ষেত্রে নবিজী সাঃ এর নামে আলাদা ভাগ দিতে হবে।
আমাদের উপর যেটি ওয়াজিব,সেটা আমাদের পক্ষ থেকে। 
আর নবিজী সাঃ এর নামে আলাদা ভাগ দিতে হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনার নিজের উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে আগে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করবেন,তারপর চাইলে আরেকটি পশু দিয়ে বা কুরবানীর গরুর আরেকটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাগ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে দিতে পারেন।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে কুরবানী দেয়া আবশ্যক কোনো কাজ নয়।
বরং কেউ দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে দিতে পারে। 

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর তো ছওয়াবের প্রয়োজনীয়তা নেই,তবে তার নামে কুরবানী দেয়ার দরুন কুরবানী দাতা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর অনেক নিকটতম উম্মত হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...