আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত, একটা বিষয়ে জানার ছিলোঃ
আমার ভার্সিটি তে একটা সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত একটা প্রোগ্রামে ১০০০ টাকা দিয়ে একটি সফটওয়্যার শেখার জন্য কোর্স করেছিলাম ৪-৫ বছর আগে। ঐ সংস্থাটা মুনাফাভোগী মনে হয়নি। আর এখন দেখলাম ঐটার তেমন কোনো কার্যক্রমও নেই। প্রশ্ন হলো এক ছোট ভাইকে কি ঐ কোর্সের রিসোর্সগুলো দিতে পারবো?  কারণ ঐগুলো এত গোছানো পেতে অনেক টাকা খরচ করতে হবে..

1 Answer

0 votes
by (556,680 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/294 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,
হুকুকে মুজাররাদাহ বা স্বত্বকে সংরক্ষণ করে রাখা জায়েয।যেমন কেউ কিছু আবিস্কার করল বা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করল।এ জাতীয় বিষয় সমূহের মালিকানাকে উন্মোক্ত না করে নিজের জন্য রেখে দেওয়া জায়েয।সুতরাং এ সমস্ত জিনিষ কে কপি করে প্রচার-প্রসার করা মানে উক্ত ব্যক্তির হক্ব-কে নষ্ট করা।অর্থাৎ কপি করে প্রচার প্রসার করা জায়েয হবে না।
সুতরাং সংরক্ষিত ঐ ভিডিও গুলো যদি -ফ্রি ডাউনলোড অফর- থাকা কালিন সময়ে তারা ডাউনলোড করে থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।কেননা যেহেতু তারা ঐ ভিডিওগুলোকে ফ্রি-তে দিয়ে দিয়েছে তাই অবশ্যই সেটার প্রচার প্রসারে তাদের কোন প্রকার বিধিনিষেধ থাকবে না।কেননা হয়তো তারা প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এগুলোকে ফ্রি করে দিয়েছে।আর যদি কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিজে প্রথমে দেখে তারপর কম্পানির অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোকে ভাইড়াল করে দেয় তাহলে এগুলো দেখা জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1197

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে ঐ কোর্সের রিসোর্সগুলো অন্য কাউকে দেয়ার ক্ষেত্রে উক্ত সংস্থার যদি নিষেধাজ্ঞা থাকে,সেক্ষেত্রে এগুলো অন্যকে দেয়া বা বিক্রয় করা নিষিদ্ধ

এতে তাদেরকে ধোকা দেয়া হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

অন্য এক হাদীসে এসেছে  

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হ্যাঁ যদি উক্ত সংস্থার পক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে আপনি ঐ কোর্সের রিসোর্সগুলো অন্য কাউকে দেন,বা এতে তাদের মৌন সমর্থন থাকলে সেক্ষেত্রে এটা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...