আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কুরবানির ইদের দিন  নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে কিছু না খেয়ে গরুর গলার ছুরি দেওয়ার পর খাইতে বলে। এটা কি সুন্নাহ/মুস্তাহাব আমল?

নাকি কুরবানির দিন প্রথম খাবার কুরবানির পশুর গোস্ত দিয়ে খাওয়া সুন্নাহ/মুস্তাহাব আমল?
মুস্তাহাব আমল যদি কুরবানির গোস্ত দিয়েই দিনের ১ম খাবার খাওয়া হয়ে থাকে? তাহলে শুধু নামাজের আগে/কুরবানির গরু কুরবানি দেওয়ার পর পর ই নাস্তা করাটা কি সওয়াবের হবে? নাকি গোস্ত রেডি হওয়া পর্যন্ত রোযা করতে হবে?

আর এই আমল যারা কুরবানি দেননা তারা করলে সওয়াব পাবে? নাকি তাদের জন্য প্রয়োজ্য না?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ঈদুল আযহার দিন সকাল থেকে কিছু না খেয়ে কুরবানীর গোশত দিয়ে প্রথম খাবার শুরু করা মুস্তাহাব। 

হাদীস শরীফে এসেছে,

عن بريدة قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا يغدو يوم الفطر حتى يأكل، ولا يأكل يوم الأضحى حتى يرجع فيأكل من أضحيته. –رواه أحمد (38/88 رقم: 22984 ط. الرسالة) والدارقطني (2/380 رقم: 1715 ط. الرسالة) وصححه ابن القطان في “بيان الوهم والإيهام” (5/356 ط. دار طيبة، الرياض)

বুরাইদাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আযহার দিনে সালাতের পূর্বে কিছু খেতেন না, সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানীর গোশত খেতেন।” -মুসনাদে আহমদ: ৩৮/৮৮ হাদীস: ২২৯৮৪ (আর-রিসালাহ) সুনানে দারাকুতনী: ২/৩৮০ হাদীস: ১৭১৫ ইবনুল কাত্তান রহিমাহুল্লাহ (৬২৮ হি.) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (বয়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ইয়াহাম: ৫/৩৫৬ দারু তাইয়িবাহ, রিয়াদ)

ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ-

فی الأضحی یؤخر الأکل عن الصلاة" استحبابا فإن قدمہ لا یکرہ فی المختار لأنہ علیہ الصلاة والسلام کان لا یطعم یوم الأضحی حتی یرجع فیأکل من أضحیتہ؛ فلذلک قیل لا یستحب تأخیر الأکل إلا لمن یضحی لیأکل منہا أولا (مراقی الفلاح)قولہ: "یؤخر الأکل عن الصلاة" وکذا کل ما ینافی الصوم من صبحہ إلی أن یصلی، وقد تواردت الأخبار عن الصحابة رضی اللہ عنہم فی منع الصبیان عن الأکل والأطفال عن الرضاع غداة الأضحی کما فی الزاہدی وفیہ رمز إلی أن ہذا الإمساک لیس بصوم؛ ولذا لم یشترط لہ النیة، وإلی أنہ مندوب فی حق المصریین فقط کما فی تقسیم المأمور بہ من الکشف قہستانی، قولہ: "فإن قدمہ لا یکرہ فی المختار" قال الحموی المنفی کراہة التحریم إذ لا بد من الکراہة بترک السنة وأدنی مراتبہا التنزیہ اہ قولہ: "کان لا یطعم" بفتح الیاء أی لا یأکل قولہ: "فیأکل من أضحیتہ" وفی لفظ البیہقی فیأکل من کبد أضحیتہ قال فی غایة البیان لأن الناس أضیاف اللہ تعالی فی ہذا الیوم فیستحب أن یکون تناولہم من لحوم الأضاحی التی ہی ضیافة اللہ تعالی قولہ: "فلذا قیل الخ" أی لہذا الحدیث قیل الخ قال السید وہو ظاہر فی ترجیح الإطلاق لحکایتہ التفصیل بقیل اہ وقیدہ فی غایة البیان بالمصری(حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح شرح نور الإیضاح، ص: 536، باب أحکام العیدین، مطبوعة: مکتبة زکریا، دیوبند)
সারমর্মঃ-
ঈদুল আযহার দিন নামাজ হতে খাবার দেড়ি করা মুস্তাহাব। তবে কেহ যদি আগে খাবার খায়,সেক্ষেত্রে মাকরুহ হবেনা।
রাসুলুল্লাহ সাঃ ঈদুল আযহার দিনে সালাতের পূর্বে কিছু খেতেন না, সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানীর গোশত খেতেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কুরবানির দিন প্রথম খাবার কুরবানির পশুর গোস্ত দিয়ে খাওয়া মুস্তাহাব।

সুতরাং কুরবানির গরু জবাইয়ের পর তাহা হতে কিছু গোশত এনে তাহা রান্না করে সেই খাবার দিয়ে দিন শুরু করা, নাস্তা করা এটা সওয়াবের কাজ হবে।

এই আমল যদিও শুধুমাত্র কুরবানী দাতাদের।
তদুপরি অনেক উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ যেহেতু কুরবানীর গোশত দিয়ে আহার শুরু করতেন,
সুতরাং এই আমল যারা কুরবানি দেননা তারা উক্ত আমল করলে আশা করা যায় যে তারাও সওয়াব পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...