আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। কোনো মেয়ে যদি দ্বীনে ফেরার আগে হারাম রিলেশন করে,প্রায় দু'বছর ধরে ( কিন্তু তারা কখনোই ফিজিক্যালি ইন্টিমেট হয়নি) কিন্তু দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পরেই আল্লাহর জন্য রিলেশন ছেড়ে দেয়(৩.৫ বছর আগে) ,তার সাথে সব যোগাযোগ ছিন্ন করে,আন্তরিক তওবা করেছে(তওবায়ে নাসুহা),এখন নন-মাহরাম মেইনটেইন করে, পরিপূর্ণ পর্দা করে,দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করে,একজন দ্বীনদার স্বামীর প্রত্যাশা করে।।। আর সেই ছেলেও বলে দিয়েছে, মেয়ে চাইলে অন্য কোথাও বিয়ে করে নিতে পারে,তার কোনো আপত্তি নেই।।। আর এই রিলেশনের কথা খুব কম মানুষই জানতো,তাই পরবর্তীতে প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।।।


প্রশ্ন হলো পাত্র যদি বায়ো তে লিখে দেন যে, মেয়ের পূর্ববর্তী হারাম রিলেশন থাকা যাবে না। সেক্ষেত্রে যেহেতু ওই মেয়ে ৩.৫ বছর আগে রিলেশন ছেড়েছে,তওবায়ে নাসুহা করেছে,তার সাথে আর কোনো যোগাযোগই নেই,,, তাহলে কি এখন সে পাত্রের কাছ থেকে হারাম রিলেশনের বিষয়টা লুকাতে পারবে বা মিথ্যা বলতে পারবে???...নাকি যেহেতু সে বায়োতে লিখে দিয়েছে, তাহলে কি তাকে ঠকানো হবে??? একটা মেয়ের হারাম রিলেশন ছিল,সেটা যদি গভীর নাও হয়, এটা শুনলে কোনো দ্বীনদার ছেলেই আর বিয়ের জন্য আগাবে না।

ছেলের সব কিছুই মেয়ের অনেক পছন্দ হয়েছে,যেমন আশা করেন তেমন,কিন্তু ছেলের প্রত্যাশার এই একটা জায়গায় গিয়ে সব আশা শেষ হয়ে গেছে।।। এখন তার কি করা উচিত
দয়া করে উত্তর দিবেন।।।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে।ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে  অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো?কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না।স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,পূর্বের রিলেশনের কথা স্বামী একদিন জেনে যাবে,এবং রিলেশনটাও এ পর্যায়ের ছিলো,অস্বীকার করে পার পাওয়া যাবে না।এবং এটা যে স্বামী জানবে,এ সম্পর্কে অধিকাংশ ধারণা থাকে।স্বামী ভবিষ্যতে জানলে সংসার বিষময় হয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের পূর্বেই স্বামীকে অবগত করে দেওয়া উচিৎ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদিও পাত্রকে অবগত না করে সেই পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে ধোকা বা প্রতারণা হবে না। তবে যেহেতু পাত্রের প্রধানতম শর্ত পাত্রীর কোনো হারাম রিলেশন থাকা যাবে না, তাই এরকম পাত্রের সাথে বিয়ের কথাবার্তা না আগানোই উচিৎ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...