আসসালামু আলাইকুম,
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহনিকের গুরুত্ব দিয়েছেন। বাচ্চা হওয়ার পর এটি একটি জরুরী সুন্নাত। আমার চার বাচ্চা, চারজনের ক্ষেত্রেই এই সুন্নাতের ওপর আমল করার তৌফিক আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা'লা দিয়েছেন। তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে না জেনে (নিকটাত্মীয়ের পীড়াপীড়িতে) এমন এক জনকে দিয়ে তাহনিক করিয়ে ফেলেছি যার চরিত্রে কোন ভাল গুন এর চেয়ে খারাপ এর প্রাধান্য মাত্রাতিরিক্ত বেশী। সময়ের প্ররিক্রমায় পরবর্তীতে তার অনেক খারাপ বিষয় আমার নজরে আসে। ধীরে ধীরে আমার সন্তানের মাঝেও সে বিষয়ের প্রাধান্য দেখতে পাচ্ছি। যেমন: নিজের পছন্দকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া, অন্যদের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করা, ছোট ভাই বোনের জিনিস নিতে চাওয়া, তাদেরকে তাচ্ছিল্য করা, হক নষ্ট করা, অন্যের জিনিস পাওয়ার জন্য অনেক সময় ধরে ফিকির করা, নিজের ভুল না দেখে অন্যের ভুল দেখা, নামাযে মনযোগ কম, আমলে অলসতা ইত্যাদি। তার অনেক ভালো গুন আছে মা শা আল্লাহ আমরা তার নাম রেখেছি আব্দুল্লাহ এবং তার নামের তাসীর তার উপর আছে মা শা আল্লাহ। যেমন: পিতা মাতার আনুগত্য, ছোট ভাই বোনের দেখাশোনা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি। তবে ধীরে ধীরে তাহনিক করা ব্যক্তির আচরণ ও ওর মাঝে প্রকট হচ্ছে। আমার জানামতে বুযুর্গ, ইলম ও আমল ওয়ালা ব্যাক্তি দিয়ে তাহনিকের উদ্দেশ্যেই এটা যে যেন তার উত্তম স্বভাব চরিত্র বাচ্চার মধ্যেও আসে।
আমরা ওকে উত্তম আখলাকের ব্যাপারে উৎসাহিত করি এবং ওর খারাপ দিক গুলো নিয়ে ওকে নছিহত করি ও সতর্ক থাকতে বলি।কিন্তু আমার ছেলেটা নিজেও ওর খারাপ বিষয়গুলো ইম্প্রুভ করে এগিয়ে যেতে গিয়ে বারবার বিফল হচ্ছে। ওর মানসিক কষ্ট দেখে আমরা ও খুব পেরেশানি তে আছি৷
এখন এ অবস্থায় এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হিসেবে কি আমল করা যেতে পারে, বা কি পদক্ষেপ নিতে পারি অনুগ্রহ করে জানালে আমাদের খুব উপকার হয়৷