আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
১/ আমি যদি লেখাপড়া করতে চাই তাহলে লেখাপড়ার খরচ ব্যাংকার পাত্র(যদি সুদের সাথে সম্পর্কিত) দেয় তাহলে কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত?

২/সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার যদি দামি খাবার, দামি কাপড় পড়ে আমিও কি সেই দামি খাবার সেরকম দামি কাপড় পড়তে পারব নাকি সেদিন না খেয়ে থাকব,??

৩/সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার স্বামী যদি কখনো দামী নাস্তা বা উপহার দেয় (বিয়েতে বা বিয়ের পরে)সেগুলা কি নেয়া যাবে যেহেতু সেসব গ্রহন না করলে উনি কষ্ট পেতে পারে নাকি সেগুলা নেয়া যাবেনা??

৩/আমি যদি নিজ সম্পদ বা টাকা খরচ না করে উনার থেকেই নি( যদি সে সুদ সম্পর্কিত কাজ করেও) তাহলে কি গোনাহগার হব?
৪/ভরনপোষন মানে কি স্বামী(সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার) যা খায় তা খাওয়া, যত দামি (সস্তা হোক বা দামী) পোষাক বা যেসব জিনিস ইউজ করে( যেমন ফার্নিচার,ফ্রিজ,)তার মত দামি  কাপড় বা সেসব জিনিস ইউজ করা ?

৫/ দেনমোহর পরিশোধ করতে বললে সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার যদি নিজের বেতন থেকে প্রতিমাসে পরিশোধ করে তাহলে কি তা গ্রহন করা জায়েজ আছে??
৬/খাবার,পোশাক এর বাইরে ওয়াইফাই বিল বা এম্বি খরচ,,কত রকম পারসোনাল মেয়েলি খরচ প্রতিমাসে হয়ত বাধ্যগত খরচ যা উল্লেখ করতে হয়ত পারতেসিনা,এসব কি প্রয়োজনীয় ভরনপোষনের মধ্য পড়ে?

৭/সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার এর যদি জমি থাকে, এরপরেও যদি আমি তাকে বলি আমার দেনমোহর আমাকে পরিশোধ করে দিতে হবে সেটা বেতন থেকে হোক বা জমি বিক্রি করে এটা করলে সে যদি বেতন থেকে দেয়,তাহলে কি নেয়া জায়েজ?
৮/সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার যদি এক জায়গায় থাকে,এখন যদি তার কাছে না নেয় বা আমি যদি লেখাপড়া করব বলে  আমি যদি তাকে শহরে বাসায় রাখতে বলি লেখাপড়া বা এমনিতে,(শ্বাশুড়িকে সাথে নিয়ে বা শ্বাশুড়ি ছাড়া) এটা কি প্রয়োজন অতিরিক্ত নাকি তিনি যেখানে  কর্মস্থল সেখানে না নেয়া পর্যন্ত শহরে রাখতে বলা জায়েয হবেনা?

৯/আমার ইচ্ছা করতেসে আল্লাহ্'র প্রতি ভরসা রেখে অপেক্ষা করতে পাশাপাশি আল্লাহ্ তাওফিক দিলে টিউশন জবের চেষ্টা করতে ,হালাল ইনকামকারী কে বিয়ে করেল হয়ত ওয়াসওয়াসা আসবেনা এবং আমার জমানো টাকা খরচ না করা,,কিন্তু আপনি পুর্বের (রিলেটেড লিংক এর পোস্টের প্রশ্ন গুলার উত্তর)  প্রশ্নের উত্তরে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন।আমার এখন কি করা উচিত?
by (21 points)
সুদ সম্পর্কিত ব্যাংকার বলতে ব্যাংকে সুদ সম্পর্কিত জব করে এমন স্বামীকে বুঝায়ছি আর  উনার থেকে প্রাপ্য প্রয়োজনীয় ভরনপোষন এর ধরন ও রুপ(বাসস্থান, খাদ্য,খোরপোষ)  বিস্তারিত জানতে চেয়েছি,, উনার চট্রগ্রামে গ্রামে  বাড়িতে না থেকে চট্রগ্রামে শহরে থাকতে চাওয়ার কথা বলেছি যদিও উনি কাজের সুবাদে নরসিংদি থাকেন।

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَتْ هِنْدٌ بِنْتُ عُتْبَةَ امْرَأَةُ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، لَا يُعْطِينِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يَكْفِينِي وَيَكْفِي بَنِيَّ إِلَّا مَا أَخَذْتُ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، فَهَلْ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ مِنْ جُنَاحٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ وَيَكْفِي بَنِيكِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিন্দা বিনত উতবা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচাদি প্রদান করেন না। তবে আমি তার অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাদি গ্রহণ করে থাকি। এতে কি আমার কোন দোষ (পাপ) হবে? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার সম্পদ থেকে তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয় এমন সঙ্গত পরিমাণ নিতে পার। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৪, ইফাবা-৪৩২৮]

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَتْ هِنْدٌ أُمُّ مُعَاوِيَةَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ أَنْ آخُذَ مِنْ مَالِهِ سِرًّا؟ قَالَ: «خُذِي أَنْتِ وَبَنُوكِ مَا يَكْفِيكِ بِالْمَعْرُوفِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুআবিয়া (রাঃ) এর মা হিন্দ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) একজন কৃপন ব্যাক্তি। এমতাবস্থায় আমি যদি তার মাল থেকে গোপনে কিছু গ্রহন করি, তাতে কি আমার গুনাহ হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজনানুসারে যথাযথভাবে গ্রহন করতে পার। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২২১১,ইফাবা-২০৬৯]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীর ইনকাম হারাম হলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য মাসয়ালাঃ
স্বামীর উপার্জন ছাড়া নিজস্ব হালাল সম্পদ দিয়ে চলা যদি স্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে স্বামীর হারাম টাকা নেয়া বৈধ হবে না।

আর যদি স্ত্রীর আলাদা কোন উপার্জন না থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় অর্থ নেয়া জায়েজ হবে। সেই সাথে স্বামীকে সর্বদা হারাম ছেড়ে দিয়ে হালাল উপার্জন করতে তাকিদ দিতে থাকবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হ্যাঁ, এটা প্রয়োজন অতিরিক্ত। 

(০২)
যতটুকু খাবার খেলে শরীর চলবে,এক্ষেত্রে ততটুকু খাবার গ্রহন করা যাবে।

চলার মতো পরিধান যোগ্য অন্য পোশাক থাকলে এই পোশাক গ্রহণ করা জায়েজ হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামী থেকে নেয়া জায়েজ হবেনা। 

(০৪)
২ নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৫)
তাহা গ্রহন করা জায়েজ আছে। 

(০৬)
এগুলো প্রয়োজনীয় ভরনপোষনের মধ্য পড়েনা।

(০৭)
জায়েজ। 

(০৮)
শহরে রাখতে বলা জায়েজ হবে।

(০৯)
হালাল ইনকাম কারীকে বিবাহের পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...