আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
89 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
১। স্ত্রী ঝগড়া করছিল,,তাই স্বামী থামানোর জন্য কেনায় বাক্য বলেছেন। এখন স্ত্রী জিদ করছে যে আপনি আমাকে তালাক দিয়েছেন।স্বামী অনেকবার না করা সত্ত্বেও স্ত্রী থামেন না। স্বামী তখন আবার ও স্ত্রী কে থামানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বলে তুমি যদি ভাবো তাহলে তাই। বারবার না করা সত্ত্বেও থামো না। তখন স্ত্রী চুপ করে। (তুমি যদি মনে করো তাই) এই কথা নিয়ত ব্যতীত বললে সমস্যা আছে কিনা। স্বামীর তালাক দেওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নাই। তার অন্তরে নাই অরম ভাবনা। স্ত্রী এমন জোরপুর্বক স্বীকারোক্তি নিলে সেটা গ্রহনযোগ্য হবে?

২ । মোবাইল ফোন এ কি তালাকের মজলিস হয়?

৩। স্ত্রী যদি তালাকের উদ্দেশ্য বা নিয়ত ব্যতীত ,রাগ বা অভিমান থেকে বলে বাবার বাড়ি চলে যাবো। সংসার করব না। ইত্যাদি বলে।আর স্বামী যদি বলে তুমি যা ভালো বুঝো,,বা ঠিক আছে। তিনিও জানেন যে স্ত্রী তালাকের উদ্দেশ্য নিয়ে বলে নাই।অভিমান থেকে বলছে। কথা যাতে না বারে তাই স্বামী এমন টা বলে।
৪।  স্বামী স্ত্রীর দুজনের ই  তালাকের কোনো কথাবার্তা ,,ঘটনা স্পষ্ট মনে না থাকলে হুকুম কি?আবছা মনে থাকলে বা কোনো কথার উত্তরে কি বলা হলো এসব যদি মনে না থাকে আর প্রমান ও না থাকে তাহলে করণীয় কি?

উল্লেখিত সব ক্ষেত্রে কি তালাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কোনো?

দয়া করে জলদি বিস্তারিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
reshown by
হুজুর প্রশ্নের উত্তর টা খুজে পাই নাই কোথাও। দয়া করে উত্তর টা দিন। না জানতে পারলে খুবই অশান্তি লাগবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...