ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মে'রাজের রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। এর পূর্বে এবং পূর্ববর্তী নবীদের জমানায় কি নামায ছিলো?
এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে পূর্ববর্তী নবীগণের সময়েও বর্তমান নামাযের পদ্ধতিতে নামায ফরয ছিলো। হ্যা, ওয়াক্ত এবং রা'কাত সংখ্যায় কিছুটা পার্থক্য ছিলো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের স্থলে দুই ওয়াক্ত নামায ছিলো। সকালের এক নামায ছিলো এবং বিকালের এক নামায ছিলো। কিছু সংখ্যক উলামার মতে বর্তমান নামাযের মত নামায তখন ছিল না। হ্যা, দু'আর পদ্ধতিতে তখন নামায ছিলো। তবে জুমহুর উলামায়ে কেরাম এই মতকে গ্রহণ করেননি।
পূর্ববর্তী নবীদের সময়ে নামায ছিলো, যেমন কুরআনে বর্ণিত রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
{ رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ}
হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা নামায কায়েম রাখে।(সূরা ইবরাহিম-৩৭)
হযরত ইবরাহিম আঃ নিজ দু'আয় বলতেন,
نیز حضرت ابراہیم علیہ السلام ہی کی دعا ہے:
{رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ}
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।(সূরা ইবরাহিম-৪০)
{وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى وَأَخِيهِ أَنْ تَبَوَّآ لِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوتًا وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ}
আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।(সূরা ইউনুস-৮৭)