আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
370 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু,  উস্তায নামাজ কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগে মক্কায় ছিল? কোরবানি এবং হজ যেমনটা ইব্রাহিম আঃ থেকে চলে আসছিল তেমনিভাবে। নামায কি কোরবানি এবং হজের মতো আগে ছিল কি, আর জান্নাত জাহান্নাম কয়টি ও কি কি?   জিনের বৈশিষ্ট্য কী কী? দয়াকরে উওর দিবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মে'রাজের রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। এর পূর্বে এবং পূর্ববর্তী নবীদের জমানায় কি নামায ছিলো?
এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে পূর্ববর্তী নবীগণের সময়েও বর্তমান নামাযের পদ্ধতিতে নামায ফরয ছিলো। হ্যা, ওয়াক্ত এবং রা'কাত সংখ্যায় কিছুটা পার্থক্য ছিলো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের স্থলে দুই ওয়াক্ত নামায ছিলো। সকালের এক নামায ছিলো এবং বিকালের এক নামায ছিলো। কিছু সংখ্যক উলামার মতে বর্তমান নামাযের মত নামায তখন ছিল না। হ্যা, দু'আর পদ্ধতিতে তখন নামায ছিলো। তবে জুমহুর উলামায়ে কেরাম এই মতকে গ্রহণ করেননি। 

পূর্ববর্তী নবীদের সময়ে নামায ছিলো, যেমন কুরআনে বর্ণিত রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
{ رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ} 
হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা নামায কায়েম রাখে।(সূরা ইবরাহিম-৩৭)

হযরত ইবরাহিম আঃ নিজ দু'আয় বলতেন,
نیز حضرت ابراہیم علیہ السلام ہی کی دعا ہے:
 {رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ} 
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।(সূরা ইবরাহিম-৪০)

{وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى وَأَخِيهِ أَنْ تَبَوَّآ لِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوتًا وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ} 
আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।(সূরা ইউনুস-৮৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...