জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কোনো ভিক্ষুক/গরিব কিছু চাইলে সেক্ষেত্রে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কিছু না দেয়া সুন্নাতের খেলাফ।
(০২)
সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর যাকাত ফরয হয় না। শুধু সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসার পণ্যে যাকাত ফরয হয়।
সোনা-রুপার অলংকার সর্বদা বা কালেভদ্রে ব্যবহৃত হোক কিংবা একেবারেই ব্যবহার না করা হোক সর্বাবস্থাতেই তার যাকাত দিতে হবে। -সুনানে আবু দাউদ ১/২৫৫; সুনানে নাসায়ী হাদীস ২২৫৮; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭০৫৪-৭০৬১,৭০৬৩-৭০৬৫; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ৯৯৭৪;৬/৪৬৯-৪৭১
ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩,৭১০৪
,
★সুতরাং আপনার উক্ত জমি তো ব্যবসার জন্য নয়,তাই তার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
যাকাত শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়ে থাকে।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশুএগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের উল্লেখিত পন্য গুলোর উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
তবে এগুলো দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হওয়ায় এগুলোর উপর কুরবানী ও ফিতরা ওয়াজিব হবে।
অর্থাৎ এগুলোর মূল্যকে নিজের কাছে থাকা অন্যান্য সম্পদের সাথে মিলানো হলে সেক্ষেত্রে নেসাব পূর্ণ হলে কুরবানী ও ফিতরা ওয়াজিব হবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে কুরবানী ও ফিতরা ওয়াজিব হবে।
অব্যবহৃত বলতে (১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল না হলে এক্ষেত্রে যাকাত ফরজ হবেনা।
(০৪)
ক,
দ্বীনের ব্যপারে কোনো লজ্জা বা কোনো কিছুর ভয় পাওয়ার সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে স্পষ্ট আকারে বলে দিতে হবে যে যেহেতু কুরবানীতে সম্পূর্ণ হালাল টাকা দিতে হয়,তাই আপনি হালাল সোর্স হয়ে টাকা কুরবানীর পশু ক্রয়ে দিবেন।
এটা বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে আপনার স্বামী ছাগল দিয়ে কুরবানী দিবে।
বা অন্য কোথাও শরীক হবে।
খ,
আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে আপনার জন্য রুখছত আছে।
তবে আপনার স্বামী যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক, তাই তার জন্য ও আপনার নাবালেগ সন্তানের জন্য সেই বাড়ি হতে কিছু খাওয়া নেয়া জায়েজ নেই।
গ,
হ্যাঁ, জানাতে হবে।
আরো জানুনঃ-