আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (33 points)
আমার আম্মু আর হাজবেন্ড আমার এক মামার সাথে ভাগে কুরবানি দিবে,ওই মামা বিআরডিবিতে চাকরি করেন।আমি উনাদের অনেকবার বুঝিয়েছি যে কোনো শরীকের টাকা হালাল না হলে কারো কুরবানি সহীহ  হবে না।কিন্তু কেউই মানছে না।বরং আমাকে বুঝাচ্ছে যে পরের বছর থেকে আলাদা করার চেষ্টা করবে।বিষয়টা এমন যে সম্পর্ক আগে ভালো রাখতে হবে,আগামী বছর কুরবানি সহীহ হবেনি,এ বছর না হলেও চলবে।হাজবেন্ড তো এই কথাও বলছে যে আগামী বছর একটা আলাদা কুরবানি দিবে আরেকটা মামার সাথে ভাগে দিবে।এখন ওদের কুরবানির মাংস খাওয়া হালাল হবে আমি যতদূর জানি,তবুও এইযে উনাদের সাথে আমার আদর্শিক পার্থক্য,কুরবানি সহীহ হলো কি হলো না এই ব্যাপারে তেমন মাথাই ঘামাচ্ছে না,এই কারণে আমি উনাদের কুরবানির মাংস খেতে চাচ্ছি না।আমার কাছে উনাদের এই বিষয়গুলা মোটেও ছোটো মনে হচ্ছে না,এতো উদাসীনতা দেখে আমার হৃদয় রীতিমতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।আমার কি এই কাজ করা ঠিক হবে?নাকি হাজবেন্ড আর আম্মু খেতে আদেশ করলে
সেটাই বাধ্যতামূলক হবে,না খেলে হাজবেন্ড আর মায়ের অবাধ্যতা হবে?

1 Answer

0 votes
by (704,440 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/48992/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْجَزُورُ - أي : البعير - عَنْ سَبْعَةٍ )

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,গরু সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।এবং উট ও সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।(সুনানু আবি-দাউদ-২৮০৮)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.

তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪)

শরীকদের কারো হারাম মাল থাকলে ,কারো কুরবানি বিশুদ্ধ হবে না। তবে হালাল মালের অংশের গোশত খাওয়া নাজায়েয হবে না।আপনি খেতে পারবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীকে কুরবানীর ক্ষেত্রে কোনো শরীক যদি হারাম ইনকামের টাকা কুরবানীর পশু ক্রয়ে দেয়,সেক্ষেত্রে কারো কুরবানীই সহীহ হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড , বা বিআরডিবি গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ একটি সরকারী বোর্ড এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম সরকারি কর্মসূচিতে জড়িত প্রতিষ্ঠান। এর সদরদপ্তর ঢাকা, বাংলাদেশ -এ অবস্থিত। 

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অভিজ্ঞতার ও কর্মপরিধির দিক থেকে বিআরডিবি পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে একক বৃহত্তম সরকারি প্রতিষ্ঠান। ষাট এর দশকে প্রবর্তিত এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ‘কুমিল্লা মডেল’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি (আইআরডিপি) গ্রহণ করা হয়। পল্লী উন্নয়নে আইআরডিডিপ’র সফলতা, অবদান ও গুরুত্ব মূল্যায়ন করে ১৯৮২ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিআরডিবি প্রতিষ্ঠিত হয়। আইআরডিপি’র মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ মাঝারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদেরকে সমবায় সমিতির আওতায় সংগঠিত করে কৃষি আধুনিকায়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জন করা। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে মহিলা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প/কার্যক্রম চালু করা হয়। আশি’র দশকের গোড়ার দিকে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি ও তাদের আর্থ-সামাজিক জীবন মানের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প/কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে বিআরডিবি সরকারের পল্লী উন্নয়ন নীতি ও কৌশলের সাথে সংগতি রেখে পল্লীর ক্ষুদ্র ও সম্পদহীন দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে সমবায় সমিতি ও অনানুষ্ঠানিক দলের আওতায় সংগঠিত করে সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
(সংগৃহীত)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
কুরবানীর পশু ক্রয়ে আপনার মামা যদি তার বেতন হতে টাকা দেয়,সেক্ষেত্রে আপনার মামার সাথে যারা যারা কুরবানী দিবে,কাহারো কুরবানীই কবুল হবেনা।

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু অধিকাংশ দের ইনকাম হালাল,তাই সেই পশুর গোশত খাওয়া জায়েজ হবে।

তাই আপনি যেই কাজ করতে চাচ্ছেন,সেটা করা ঠিক হবেনা।

হাজবেন্ড আর আম্মু খেতে আদেশ করলে সেটা খাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...