আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আমি ২৮ বছরের মেয়ে।  ২৫ বছরে হিদায়ত এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।  এরপর থেকে সিদ্ধান্ত নেই চাকরি করবো না। তাই বিসিএস এর প্রিপারেশন নেওয়া ছেড়ে দেই। আমরা ২ বোন। ভাই নেই। আমি অনেক ভালো ছাত্রী ছিলাম।  পরিবারের অনেক ইচ্ছা ছিলো অনেক বড় চাকরি করে পরিবারের হাল ধরব।

আমার বাবা একজন সিজোফ্রেনিয়ার ( মানসিক রোগী )  বিয়ের আগে থেকেই। দাদীরা লুকিয়েছে এসব কথা বিয়ের সময়। এই রোগের প্রধান সাইড ইফেক্ট আমার মাকে অনেক নির্যাতন করা শারিরীক ও মানুসিক। মাকে অযাচিত সন্দেহ করে। এবং তিনি সারাজীবন ই বেকার। পৈতৃক সূত্রে কিছু জমি পেয়েছে সেটাই ইচ্ছা মত খরচ করে। কিছু কিছু আমাদের দেয়। বাকিটুকু বাহিরে খেয়ে নষ্ট করে। সাথে সে অনেকটা নাস্তিক গোছের আর একজন হিন্দু জ্যোতিষির অন্ধভক্ত।

আমার মা অনেক কষ্ট সহ্য করে অনেক নির্যাতন সহ্য করে সংসারের হাল ধরে রেখেছে।  তিনি একটা ছোট সরকারি চাকরি করে আর সেটা দিয়ে সংসারের সব খরচ, বোনের খরচ সাথে আমারও কিছু চলে। আমার মা সাধারণ মুসলিম ধরনের।  নামাজ পড়ে, রোজা রাখে,  সমাজের মতো মুসলিম।  তার কথা পর্দা করে চাকরী করা যায়।

আমার মা আমার দ্বারা খুবই কষ্ট পেয়েছে যে আমি চাকরি করব না শুনে। তার অনেক শারিরীক মানুসিক নির্যাতনের মধ্যে একটা আশা ছিলো আমি চাকরি করে সংসারের দু:খ কাটবো, একটা স্ট্যাটাস হবে, একটা সুরাহা হবে। তিনি আমাকে বলেন ' তোর চাকরি করা জায়েজ না হলে, আমার কি দায় যে আমি চাকরি করব, আমিও ছেড়ে দেয়, দেখি তোদের কি হাল হয়' এর জবাবে আমি কিছুই বলতে পারিনা। আমি তাজবীদে ভালো করে শিখতেছি যাতে তাজবীদের টিউশনি করাতে পারি... কিন্তু তাদের মূলত আমার থেকে চাকরি দরকার যাতে মাসে অন্তত ৩০ হাজার আয় করতে পারি। পর্দার মধ্যে ব্যবসা, বা টিউশনি আমি চেষ্টা করেছি, বেশি আয় হয় না যদি আমি পরিপূর্ণ ইসলামের মতো করে চলি নানাদিক বিবেচনা করে। আমার বিয়ে সমস্যা কারণ তারা সরকারী চাকরিজীবী বা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাত্র চায়। আমি আবার দ্বীনদার ছাড়া বিয়ে করব না। বয়সও হয়ে গেছে এজন্য ডাক্তার -ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে দ্বীনদার কম বয়সী পাত্রী খুঁজে। আমার আত্মীয় -স্বজন সবাই বড় বড় জায়গায় এবং ঠিক ইসলামিক না। সবাই আমাকে অবাধ্য সন্তান হিসেবে দেখতেছে কারণ সবার মতে চাকরি করে আমার পরিবারের হাল ধরা উচিত যা আমি করতে চাচ্ছি না। আবার মায়ের জন্যও কষ্ট হয় যে তার তো ঠিকই চাকরি করতে হচ্ছে, তারও বয়স হয়েছে!

এমতাবস্থায় আমার সরকারী চাকরি করা বা চাকরির প্রিপারেশন নেওয়া কি উচিত হবে বা আমার মাকে আমি কি বলতে পারি?  খুব কষ্ট অনুভূত হয় উস্তাদ!  কি করব বুঝতে পারতেছি না।  আমাকে একটু পরামর্শ,  দিক নির্দেশনা দিয়ে উপকৃত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 

শর্তগুলো জানুনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরের লিংকে দেয়া শর্তগুলো মেনে আপনি চাকুরী করতে পারলে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার চাকরির প্রিপারেশন নেওয়া উচিত বলেই মনে হচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে আপনার বয়স যেহেতু ২৮।
তাই পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে বাবাকে বুঝিয়ে আগে দ্রুত বিবাহ করে নেয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...