আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (30 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম উস্তাদ,
১ নং প্রশ্ন :  ধনী ব্যক্তিদের জন্য কুরবানীর পশুতে শরিক নেওয়া জায়েজ? যদি নেই তবে শরিকের টাকা কি সাদকাহ করে দেওয়া আবশ্যক?।
২ নং প্রশ্ন :  অনেকের ধারণা, আকিকা না করে কুরবানী করা যায়না, এটা কি সঠিক? এই ধারনার ভিত্তিতে কেউ যদি কোরবানির পশুতে অর্ধেক শেয়ার কিনে শেয়ারের পুরোটা আকিকা করে দেই, কোরবানি না করে। তাহলে তাদের ওয়াজিব তরক করার কারণে কী গোনাহ হবে?
৩ নং প্রশ্ন : পরিবারের কারোর আকিকা না করা থাকলে, এমতবস্থায় কোরবানির মাস চলে আসলে, তারজন্য কোরবানির আগে না আকিকা আগে আদায় করতে হবে?
৪নং প্রশ্ন : কোনো সংগঠন থেকে সংগঠনের সদস্য হইতে টাকা তুলে শুধুমাত্র গরীবদের মাঝে গোশত বন্টনের জন্য পশু ক্রয় করে ১০,১১,১২ জিলহজ্বের মধ্যে পশু কোরবানি করলে সেটাকে নফল কোরবানি বলা যাবে? (এখানে ব্যক্তি যে যেমন খুশি টাকা দান করতে পারবে, তবে একটা টাকা ধার্য করা হয় গ্ৰুপ এ্যডমিন থেকে এবং ব্যক্তি সংখ্যা ১০, ২০, ৩০ জনও হতে পারে) এটাকে কি কুরবানী বলতে পারবো না সাধারণ জবেহ হিসেবে ধরতে হবে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/46989/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কুরবানীর ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রানী বড়,যেমন গরু,উট, মহিষ।
সেক্ষেত্রে তার মধ্যে সর্বোচ্চ সাত ভাগে কুরবানী দেয়া যাবে।

এটি হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 عن جابرٍ، قال: خرجنا مع رسولِ الله صلى الله عليه و سلم مُهِلِّيْنِ بالحَجِّ فأمرنا رسول الله صلى الله عليه و سلم أن نشترِكَ في الإبل والبقرِ، كل سبعةٍ منا في بَدَنَةٍ. رواه مسلم

“জাবের (রাযি:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা নবী (সা:) এর সাথে হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হলাম। অতঃপর তিনি (সা:) আমাদের উট ও গরুতে শরীক হওয়ার আদেশ দেন। আমাদের মধ্যে প্রত্যেক সাত জনকে একটি উটে”। [মুসলিম, অধ্যায়, হাজ্জ, অনুচ্ছেদ নং ৬২, হাদীস নং ৩৫১]

عن جابر بن عبد الله، قال: حججنا مع رسول الله صلى الله عليه و سلم، فنحرنا البعير عن سبعة، والبقرة عن سبعة. رواه مسلم

আবদুল্লার পুত্র জাবির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হজ্জ করলাম। অতঃপর সাত জনের পক্ষে একটি উট নহর করলাম এবং সাত জনের পক্ষে একটি গাভী। [মুসলিম, অধ্যায়, হাজ্জ, অনুচ্ছেদ নং৬২, হাদীস নং ৩৫১]

عن ابن عباس قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه و سلم في سفرِ فحضر الأضحى، فاشتركنا في البقرة سبعة و في البعير عشرة. [رواه الترمذي والنسائي وابن ماجه]

ইবনে আব্বাস (রাযি:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা সফরে ছিলাম। এমতাবস্থায় কুরবানীর সময় উপস্থিত হল। তাই আমরা একটি গাভীতে সাত জন শরীক হলাম এবং উটে দশ জন। [তিরমিযী, অধ্যায়, আযাহী, অনুচ্ছেদ নং ৭, হাদীস নং১৫৩৭/ নাসাঈ, অধ্যায়, যাহাইয়া, অনুচ্ছেদ নং ১৫ হাদীস নং ৪৪০৪/ ইবনু মাজাহ, অধ্যায়, আযাহী, নং ৩১৩১/ মুসনাদ আহমদ,৩/৩০৩]

★তবে ছোট প্রানী,যেমন ছাগল,ভেড়া,দুম্বা।
এগুলোর ক্ষেত্রে কোনো শরীকানা কুরবানী চলবেনা।

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (5/ 70):
"وأما قدره فلا يجوز الشاة والمعز إلا عن واحد
বকরি,ভেড়া দিয়ে একজনের বেশি কুরবানী দেয়া জায়েজ হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ধনী ব্যক্তিদের জন্য কুরবানীর পশুতে অন্য কাউকে শরিক নেওয়া জায়েজ।
যদি কাউকে শরীক হিসেবে নেয়, তবে শরিকের টাকা সাদকাহ করে দিতে হবেনা। 

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ধনী ব্যাক্তি যাদেরকে শরীক হিসেবে নিবে,ধনী ব্যাক্তি সহ সকলের কয় ভাগ তাহা নির্ধারন করতে হবে। এক্ষেত্রে যে যেই কয়ভাগ নিবে,সেই অনুযায়ী সমানভাবে গরুর মুল্য সকলেই দিবে।

তবে কেহ একাধিক ভাগ নিলে সেক্ষেত্রে  একাধিক অংশের মূল্য দিতে হবে।

(০২)
ক, 
এই ধারণা সঠিক নয়।
আকীকা করা মুস্তাহাব কেহ কেহ সুন্নাতও বলেন। আর কুরবানী করা ওয়াজিব। 

আকীকার দায়িত্ব নিজ বাবার উপ,আর কুরবানীর দায়িত্ব নিজের উপর।

আকীকা না করলে কোনো গুনাহ হয়না,পক্ষান্তরে কুরবানী না করা শক্ত গুনাহ।

খ,
হ্যাঁ,এক্ষেত্রে তাদের ওয়াজিব তরক করার কারণে গুনাহ হবে।

(০৩)
কুরবানী আগে আদায় করতে হবে।

(০৪)
এটা নফল কুরবানীর অন্তর্ভুক্ত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 2,896 views
...