জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এমন প্রত্যেক ব্যক্তির কুরবানী আদায় করা ওয়াজিব। কেউ ওয়াজিব কুরবানী না করলে তার ব্যাপারে হাদীসে কঠোর ধমকি এসেছে।
মিখনাফ ইবনে সুলাইম রা. বলেন-
كُنّا وُقُوفًا مَعَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ بِعَرَفَاتٍ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: يَا أَيّهَا النّاسُ، عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُضْحِيّةٌ.
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আরাফায় অবস্থান করছিলাম, তখন আমি শুনলাম তিনি বলছেন, হে লোকসকল! প্রত্যেক ঘরওয়ালার উপর প্রত্যেক বছর কুরবানী আবশ্যক। -
(জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ২৪৭৮৬)
যেই ঘরে নেসাবের মালিক একাধিক ব্যক্তি থাকে, সেই ঘরে প্রত্যেক নেসাবওয়ালাকে কুরবানী করতে হবে।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও যারা কুরবানী করে না, তাদের ব্যাপারে অন্য এক হাদীসে এসেছে; আবূ হুরায়রা রা. বলেন-
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ، فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে, তবুও সে কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ‘মুসল্লা’ (ঈদগাহ)-এ না আসে। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮২৭৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২৩
★অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে দেশীয় প্রচলনের কারণে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১১)