আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
556 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আমাদের এলাকার মসজিদের মাঝখানে একটি কবর আছে। কবরের চিহ্নও অক্ষত আছে। মসজিদ সম্প্রসারণের সময় কবরটি না সরিয়ে ওভাবে দৃশ্যমান রেখেই মসজিদ করা হয়েছে।

এই মসজিদে নামাজ কি পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে কবরস্থানে বা কবরকে সামনে রেখে নামায পড়া নিষেধ।  

হাদীস শরীফে এসেছে   
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: ” نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلَّى فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ: فِي الْمَزْبَلَةِ، وَالْمَجْزَرَةِ، وَالْمَقْبَرَةِ، وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ، وَالْحَمَّامِ، وَمَعَاطِنِ الْإِبِلِ، وَفَوْقَ الْكَعْبَةِ ” (سنن ابن ماجه، رقم الحديث-746، سنن الترمذى، رقم الحديث-346)
যার সারমর্ম হলো কবরস্থানে নামাজ পড়া হতে রাসুল সাঃ নিষেধ করেছেন।   

মসজিদের দেয়াল থাকা অবস্থায় দেয়ালের বাহিরে কবর থাকলেও উক্ত মসজিদে বা উক্ত জায়গায় নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই। 
জায়েজ আছে।
,
قَالَ مُحَمَّدٌ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -: أَكْرَهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَةُ الْمَسْجِدِ إلَى الْمَخْرَجِ وَالْحَمَّامِ وَالْقَبْرِ،……. وَهَذَا كُلُّهُ إذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ حَائِطٌ أَوْ سُتْرَةٌ، أَمَّا إذَا كَانَ لَا يُكْرَهُ وَيَصِيرُ الْحَائِطُ فَاصِلًا، وَإِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ سُتْرَةٌ فَإِنَّمَا يُكْرَهُ اسْتِقْبَالُ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ فِي مَسْجِدِ الْجَمَاعَاتِ، فَأَمَّا فِي مَسْجِدِ الْبُيُوتِ فَلَا يُكْرَهُ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية،كتاب الكراهية، الْبَاب الْخَامِس فِي آدَاب الْمَسْجِد وَالْقِبْلَة وَالْمُصْحَف وَمَا كَتَبَ فِيهِ شَيْء مِنْ الْقُرْآن -5/319
যার সারমর্ম হলো যদি নামাজী আর কবরের মাঝে দেওয়াল থাকে,তাহলে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদে উক্ত কবরের চার পার্শ দিয়ে যদি দেওয়াল দেওয়া থাকে,তাহলে সেই মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।      
,
হ্যাঁ যদি কবরের চার পার্শ দিয়ে কোনো দেওয়াল দেওয়া না থাকে,তাহলে উক্ত কবরের সামনে এবং উভয় পার্শের ব্যাক্তদের নামাজ পড়া জায়েয আছে।
তবে উক্ত কবরকে সামনে রেখে যারা কবরের পিছনে দাড়াবে,তাদের এই নামাজ পড়া নিষেধ।  
রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।  
,
★আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ  এর হুজরা মসজিদে শামিল হওয়ার পরেও কবর মসজিদে নয়। বরং তা পৃথক কক্ষে সংরক্ষিত আছে। তিন তিনটি দেওয়াল ও রেলিং দিয়ে তা পৃথক করা আছে। ভিতরের দেওয়াল দেওয়া আছে তিনকোণা আকারে, যাতে তার পশ্চাতে কেউ নামায পড়তে দাঁড়ালে সরাসরি কবর সামনে না পড়ে ।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...