জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে কবরস্থানে বা কবরকে সামনে রেখে নামায পড়া নিষেধ।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: ” نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلَّى فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ: فِي الْمَزْبَلَةِ، وَالْمَجْزَرَةِ، وَالْمَقْبَرَةِ، وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ، وَالْحَمَّامِ، وَمَعَاطِنِ الْإِبِلِ، وَفَوْقَ الْكَعْبَةِ ” (سنن ابن ماجه، رقم الحديث-746، سنن الترمذى، رقم الحديث-346)
যার সারমর্ম হলো কবরস্থানে নামাজ পড়া হতে রাসুল সাঃ নিষেধ করেছেন।
মসজিদের দেয়াল থাকা অবস্থায় দেয়ালের বাহিরে কবর থাকলেও উক্ত মসজিদে বা উক্ত জায়গায় নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।
,
قَالَ مُحَمَّدٌ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -: أَكْرَهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَةُ الْمَسْجِدِ إلَى الْمَخْرَجِ وَالْحَمَّامِ وَالْقَبْرِ،……. وَهَذَا كُلُّهُ إذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ حَائِطٌ أَوْ سُتْرَةٌ، أَمَّا إذَا كَانَ لَا يُكْرَهُ وَيَصِيرُ الْحَائِطُ فَاصِلًا، وَإِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ سُتْرَةٌ فَإِنَّمَا يُكْرَهُ اسْتِقْبَالُ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ فِي مَسْجِدِ الْجَمَاعَاتِ، فَأَمَّا فِي مَسْجِدِ الْبُيُوتِ فَلَا يُكْرَهُ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية،كتاب الكراهية، الْبَاب الْخَامِس فِي آدَاب الْمَسْجِد وَالْقِبْلَة وَالْمُصْحَف وَمَا كَتَبَ فِيهِ شَيْء مِنْ الْقُرْآن -5/319
যার সারমর্ম হলো যদি নামাজী আর কবরের মাঝে দেওয়াল থাকে,তাহলে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদে উক্ত কবরের চার পার্শ দিয়ে যদি দেওয়াল দেওয়া থাকে,তাহলে সেই মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি কবরের চার পার্শ দিয়ে কোনো দেওয়াল দেওয়া না থাকে,তাহলে উক্ত কবরের সামনে এবং উভয় পার্শের ব্যাক্তদের নামাজ পড়া জায়েয আছে।
তবে উক্ত কবরকে সামনে রেখে যারা কবরের পিছনে দাড়াবে,তাদের এই নামাজ পড়া নিষেধ।
রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।
,
★আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ এর হুজরা মসজিদে শামিল হওয়ার পরেও কবর মসজিদে নয়। বরং তা পৃথক কক্ষে সংরক্ষিত আছে। তিন তিনটি দেওয়াল ও রেলিং দিয়ে তা পৃথক করা আছে। ভিতরের দেওয়াল দেওয়া আছে তিনকোণা আকারে, যাতে তার পশ্চাতে কেউ নামায পড়তে দাঁড়ালে সরাসরি কবর সামনে না পড়ে ।)