জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।(মিশকাত-২৮৫০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
একজন মুসলিম ভাই কোনো একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো, এই প্রস্তাব ঝুলন্ত থাকাবস্থায় অন্য ভাইর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না।
হ্যা, যদি কোনো মেয়েকে কোনো ভাই প্রস্তাব দেয়,এই প্রস্তাবের বিষয়টা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে,তখন তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিতে পারবেন।এতে ঐ পাত্রের গোনাহ হবে না।
যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি অন্য কোনো পাত্র প্রস্তাব দিয়ে দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান থাকে তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হয়,তাহলে তখন পাত্রী পক্ষের জন্য দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হতে পারে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনি অন্যত্রে বায়োডাটা দিতে পারবেন।
(০২)
এগুলো আপনার জন্য ব্যবহার করা নাজায়েজ নয়।
তবে শর্ত হলো ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা। ঐ পন্য গুলি ব্যবহারের সময় ঐ ছেলেকে নিয়ে ভাবা যাবেনা।
তাকে নিয়ে কোনো কল্পনা করাও বৈধ নয়।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
তার থেকে কোনো কিছু পাওয়ার নিয়ত করবেননা,তার খেদমতের দরুন আল্লাহ খুশি হবেন,এমন নিয়তে খেদমত করবেন।
(০৪)
বুয়া যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে,তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে ঐ খাবার ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দেয়া যাবে।
(০৫)
সেই বোন যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে,তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে ঐ হাদিয়া ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান হিসেবে দেয়া যাবে।