আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ, আমার স্বামী বিদেশ থাকেন। আজ সকালে কথা বলার সময় উনি আমাকে বুড়ি বলেন। এর জন্য আমি উনাকে বলি আমাকে পছন্দ না হলে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাওকে বিয়ে করো। এতে উনি উত্তর দেন....যাও ছেড়ে দিলাম। উনাকে আমি সাথে সাথে প্রশ্ন করি উনি কি উদ্দেশ্যে এমন কথা বললেন। উনার নিয়ত কি ছিল। উনি উল্টো আমাকে বললেন তোমার নিয়ত কি ছিল। আমি উনাকে বললাম কেন তুমি এমন কথা বললা, তালাক হাসির ছলেও হয়ে যায়। উনি বলেন আমি তোমাকে কোন দিন ছাড়বো না তুমি জানো না। উনার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না।
১. উস্তাদ এসব কথায় কি তালাক পতিত হয়ে যাবে?

২. আর তালাক পতিত হলে এর সমাধান কি উস্তাদ।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ, এই প্রশ্নটি আমি কিছু দিন আগে করেছি। এখন আমার কিছু বিষয় ক্লিয়ার করার ছিল।
১। আমার কিছু ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে। আমি কথা বলার মাঝে মনের ভিতরে অনেক কথা বলে থাকি। কিন্তু আমার মনে হয় আমি সরাসরি কথাগুলো বলছি। সেদিন আমি ছেড়ে যাওয়া মানে বুঝিয়ে ছিলাম। এখনকার কিছু পুরুষ আছে নিজের স্ত্রীকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে যায় এই রেখে যাওয়াকে আমি বুঝিয়ে ছিলাম ছেড়ে দিয়ে।

২। উস্তাদ আমি কথা বলতে চাই একটা আর বলি অন্যটা এটা আমার ছোট বেলা হতে সমস্যা। অন্য মানুষ যে কথাটার অর্থ ভাবে। আমি সে কথাটার অন্য কোন অর্থ ভেবে কথা বলে ফেলি। যেমন: এখানে আমি ছেড়ে দেওয়া কথাটি বুঝিয়েছি রেখে দেওয়া। এখানে আমি ত্যাগ বুঝায়নি।

৩।উনি ছেড়ে দিলাম এমনিই বলেছেন। কোন কারণ ছাড়াই। আমি বলেছি তাই উনি বলেছেন। আমি যা বলি উনি আমার কথা রিপিট করেন। আমি সোজা বললে উনি সোজা বলেন। উনি কোন কথা না বুঝলেও আমি বললে উনি এইভাবেই কথা বলে থাকেন সবসময়।
৪। ছেড়ে দেওয়া বলাটা যদি অন্য কোন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে কি এখানে তালাক পতিত হবে। দয়া করে প্লিজ তাড়াতাড়ি উত্তরটা দিয়েন। এসব ভেবে আমার মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...