আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
closed by
৩ তারিখ রাতে খুব সামান্য একটা বিষয় নিয়েই আমাদের মধ্যে  কথা কাটাকাটি হয়।  এক পর্যায় সে রাগে বলে উঠে যে যেহেতু আমার এতো সমস্যা তাহলে ছেড়ে দেও আমায় তালাক দিয়ে দেও । এই কথা শুনে আমি প্রচন্ড রেগে যাই  আর তাকে একটা চড় দিয়ে ফেলি।  সেও পাল্টা আমায় একটা চড় দিয়ে ফেলে। আমি জীবনেও আশা করিনি সে এমন করবে৷  আমি এতোটা অবাক হই, তাই নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে তাকে আরো ৪ বা ৫ টা চড় থাপ্পড় দিয়ে ফেলি। আমার তখন একদম মাথা কাজ করছিলো না। আমার কিছুই মনে নেই,  মাথা কাজ করছিলো না তাই আমি তার গায়ে হাত তুলে ফেলি। কিন্তু এর ফলে কানতে কানতে তার শ্বাসকষ্ট উঠে যায়। এবং হটাৎ খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। আমি তার এই অবস্থা দেখে দিশা পাচ্ছিলাম না কি করবো। আমার মাথা কাজ করা একদম বন্ধ হয়ে যায়। এর পর আমি তাড়াতাড়ি আমার শ্বাশুড়ি কে ডাকি। এর তিনি এসে আমার অনেকক্ষন শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারপর সে বলতে থাকে  তোমার আমার প্রতি কোনো ভালোবাসাই নেই তুমি আমার সাথে থাকতেই চাওনা।  তারপর আমার শ্বাশুড়ির কাছে বলতে থাকে অসুস্থ বউ এর সাথে কে এমন করে৷ পরে আমি রাগে বলি  মা কে এভাবে না বলে,  না হয় বলেই দেও। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো বলবে ঝগড়ার কথা৷ কিন্তু এক পর্যায় সে বলে ফেলে আমি যে তার গায়ে হাত তুলেছি।আমার সেই সময় মনে হচ্ছিলো যেন আমার সব শেষ।  এতো দিনের সম্মান সব শেষ।  তখন আমি  আরো প্রচন্ড রেগে যাই।  আমার মনে হচ্ছিলো আমি নিজেকে শেষ করে ফেলি, যেন আমার হাতে চাকু থাকলে আমি আমার হাত কেটে ফেলতাম, আমার রাগে অবিশ্বাসে শরীর কাপছিলো। পরে আমার শ্বাশুড়ি বললো মানলাম আমার মেয়ে অনেক বড় দোষ করেছে। কিন্তু তুমি এইজন্য এভাবে ওকে মারবে। তোমার বোন কে বিবেকহীন বলার জন্য তুমি ওর গায়ে হাত তুলবে।  তখন আমি বলি মা ও আমার কাছে বার বার তালাক দাও কথাটা বলায় আমি ওকে রাগের মাথায় মেরেছি। আমি অনেক রেগে যাই এবং তখন আরো কিছু কথা বলি।তখন আমি বলি আমি তোমার সাথে থাকবো না এটাই যদি হতো তাহলে তুমি যখন বললা রাগের মাথায় ডিভোর্স দিতে তাহলে তো তখনই বলে দিতাম।কিন্তু কই মুখ দিয়ে এটাতো বের হলো না।তুমি এটাই তো চেয়েছো যে তোমার মা আমায় কথা শুনাক,ভুল বুঝুক আসলে তুমি চাও না যে আমার সাথে থাকতে। আমার মনে হয় বলেছি যে আমায় তো এটাই বলাতে চেয়েছো নেও তালাক তালাক তালাক । কিন্তু আমার সত্যিই মনে নেই আমি ঠিক কিভাবে কি বলেছি, এইগুলো আমার বউ আর শ্বশুরির থেকে শুনে লেখা। কারণ হয়তো আমি রাগের মাথায় আমার অসুস্থ বউ এর গায়ে হাত তুলে ফেলি কিন্তু তার এমন ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট দেখার পর থেকেই আমার রাগে দুঃখে মাথা কাজ করছিলো না। এর মধ্যে যখন আমার বউ তার মায়ের কাছে বলে এইসব কথা তখন আমার মনে হচ্ছিলো আমি নিজেকেই শেষ করে দেই। যেন চাকু থাকলে নিজের হাত কেটে ফেলতাম। আমার যেন সব শেষ হয়ে গেল। হ্যাঁ আমি আমার বউকে প্রচন্ড ভালোবাসি,চাই সে আমার সাথেই থাকুক কিন্তু আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি আমার সত্যি মনে নেই আমি কি বলেছি কিভাবে বলেছি। এখানে অনেক কথাই আমি আমার শ্বাশুড়ি এবং বউ এর থেকে শুনে লিখেছি। এইজন্যই মাঝে আমি কিছু লাইন হয়তো এলোমেলো বলেছি। কিছু লাইন বাদও পরেছে। আমার শ্বাশুড়ি বলছে যে আমি বলেছি তুমি আমার মুখ দিয়ে এটাই তো শুনতে চেয়েছিলে, আচ্ছা  তালাক তালাক তালাক বলে। কিন্তু সত্যি বলছি আমার আসলেই মনে পড়ছে না আমি কিভাবে কি বলেছি কারণ আমার সত্যি হটাৎ করে এতো কিছু হওয়ায় মাথা কাজ করছিলো না। রাগে শরিল কাপছিলো।  আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি আমার তখনকার অবস্থা।  আমি কি থেকে কি বলেছি, কোনটার পর কোনটা বলেছি আমার সত্যি কিছু মনে নেই। আসলে সব কিছু মিলিয়ে আমি ট্রমার মধ্যে ছিলাম। আমি অনেক মনে করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার সত্যি মনে নেই আমি তখন রাগে কিভাবে কি বলেছি।
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"তুমি আমার মুখ দিয়ে এটাই তো শুনতে চেয়েছিলে, আচ্ছা তালাক তালাক তালাক বলে।"
একথা দ্বারা স্ত্রীর চাহিদাকে স্বামী বুঝাচ্ছে, স্বামী তালাক দিচ্ছে না, তাই এইসব কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আলহামদুলিল্লাহ, হুজুর। আমার স্বামীও বলেছেন যে সে শুধুমাত্র আমার কথা রিপিট করতে বলেছেন। তার মনে আমায় ছাড়ার বিন্দুমাত্র নিয়ত ছিলো না। সেও তাই বলেছে যে তার বিশ্বাস তালাক হয়নি। কারণ ছাড়ার ইচ্ছা তো থাকা লাগে মনে। 
কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম যতক্ষণ না আপনারা উত্তর দিবেন হয়নি আমি ফেরত যাবো না। আর আল্লাহর কাছে নামাজ পরে দোয়া চেয়েছি। কারণ আমি যানি আমার স্বামী আমায় কতটা ভালোবাসেন আর ছাড়ার কথা সে কোনদিন চিন্তা করবেন না৷ জিলহজ্জ মাসের দোয়া যে কত কবুল হয় আজ টের পেলাম। এতো সুন্দর পবিত্র দিনের শুরুতেই আলহামদুলিল্লাহ আমার দোয়া কবুল হয়ে গেল। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। 
আপনাকেও ধন্যবাদ । 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...