আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামুয়ালাইকুম। আমার বয়স ২৩ বছর, বর্তমানে ভার্সিটিতে পড়াশুনা করছি এবং হালালভাবে যথেষ্ট ইনকামও করছি। কলেজ থেকেই একজন মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক। এটি অবশ্যই হারাম। বর্তমানে বুঝ হয়েছে যে এভাবে চলা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে ছাড়াও সম্ভব না। তাছাড়া আমি যা ইনকাম করি তা দিয়ে ইনশাআল্লাহ দুজনের খরচ অনায়েসেই চলে যাবে। আমি এবং সেই মেয়ে দুজনেই আল্লাহর পথে থাকতে চাই। তাই আমরা বিবাহ করে নিতে চাচ্ছি। কিন্তু আমার বাবা-মা ৩০ বছরের আগে বিয়ে করাকে মেনে নিতে পারেন না। তাদের কাছে মনে হয় যে আমার এখনও বিয়ের বয়সই হয় নি। তাদের কোনো ভাবেই বোঝাতে পারছি না যে আমার বিবাহের বয়স হয়েছে এবং গুনাহ থেকে বাঁচতে বিবাহ করা দরকার আমার। জানি যে পরিবারের মাধ্যমেই বিবাহ উত্তম, কিন্তু পরিবার থেকে তো বিবাহের ব্যাপারটা পজিটিভলি নেয়ই না। তারা নামাজ রোযা পালন করলেও ইসলামের দেওয়া এসব জীবন পরিচালনার বিধান সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে চান না। তবে ভবিষ্যতে পড়াশুনা শেষ করে চাকরি করা শুরু করার পরে তারা দিবে। কিন্তু এতদিন ওয়েট করা মানে গুনাহ বাড়তেই থাকা, এটা তারা বুঝতেই চান না। এমতাবস্থায় বিবাহ না করলে বর্তমানের থেকেও আরও গভীরতর গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য, নিজেদের চরিত্র হেফাজতের জন্য, যৌবনের চাহিদার জন্যে ভুল হয়ে যাওয়া রোধ করার জন্য কি আমরা নিজেরা বিবাহ করে নিতে পারি? ভবিষ্যতে তাকে পরিবার থেকে মেনে নিবে, এটুকু আমি সিউর। যদি নিজেরা বিয়ে করি, তাহলে সেটার উপায় এবং নিয়মগুলো কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা উভয়েই যেহেতু বালেগ বালেগাহ ,
সুতরাং আপনারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও আপনাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পরামর্শ থাকবে বিয়ের ব্যপারে একেবারে ফাইনাল ডিসিশন নিয়ে বিবাহের আগ মুহুর্তে হলেও অভিভাবকদের সাথে ফোনে বা অন্য কোনোভাবে যোগাযোগ করে বিবাহের ফাইনাল ডিসিশন জানিয়ে দেয়ার।

তারা সেই মুহূর্তে রাজি হলে তাদেরকে নিয়েই উক্ত বিবাহ করা।

তবে সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়ে এই অবৈধ প্রেম থেকে ফিরে আসতে হবে, মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে ফিরে আসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...