আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
কোনো হারাম কাজ যে হারাম, সেটা কুরআন হাদীস থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরে, ওই কাজটা কেন হারাম সব বুঝতে পেরে বিশ্বাস করার পরেও কেউ যদি নফসের কারণে ওই গুনাহ শুরু করে ওটা সগীরা গুনাহ দেখে একদম কঠোরভাবে গুনাহটি বাদ না দেয়ার কারণে একসময় বারে করতে থাকার কারণে ওটাকে হালকা করে ফেলে, এবং ওটা করার সময় প্রায়ই অনুতাপ না হয় বরং আনন্দ হয় এবং অনেকসময় ওই কাজের জন্য মন থেকে প্রশংসা(অন্যদের হারাম কাজ দেখার ক্ষেত্রে) এবং নিজের জন্য আফসোস চলে আসে যে হারাম কাজটির জন্য যে ক্ষতিগুলো হয় সেগুলো না হলে নিজেও কাজটি করা যেত, বা অন্যরা যারা করছে তাদের জন্য খারাপ লাগা তৈরী হয় যে তারা যদি এইকাজে তাদের মেধা খরচ না করত তাহলে সবদিকেই সফল হত, আবার সাথেসাথেই অনুতাপ হয় আবার ওই আনন্দটা যে খারাপ এটাও বোধ হয়, তাহলে কি যে মুহূর্তে আনন্দ হয় ওইমুহূর্তে সে কাফির হয়ে যাবে আর ওইমুহূর্তে মৃত্যু ঘটলে কাফির হিসেবে মারা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةًٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যখন যিনা করে তখন আর সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পান করে তখন তার আর ঈমান থাকে না। যখন ডাকাত এভাবে ডাকাতি করে যে, যখন চোখ তোলে তাকিয়ে থাকে তখন তার ঈমান থাকে না। এভাবে কেউ যখন গনীমাতের মালে খিয়ানাত করে, তখন তার ঈমান থাকে না। অতএব সাবধান! (এসব গুনাহ হতে দূরে থাকবে)।

বুখারী ২৪৭৫ [শেষ অংশটুকু তথা (وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ) ব্যতীত], মুসলিম ৫৭, আবূ দাঊদ ৪৬৮৯, নাসায়ী ৪৮৭০, তিরমিযী ২৬২৫, ইবনু মাজাহ ৩৯৩৬, সহীহাহ্ ৩০০০, সহীহ আত্ তারগীব ২৩৫৫;মিশকাত ৫৩।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
হাদীসের প্রকাশমান অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি মু’মিন নয় যেমনটি খারিজী এবং মু‘তাযিলাগণ বলে থাকে। তবে জামা‘আত তাদের বিপরীত মত পোষণ করেন এবং এ হাদীসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করেছেন। এ হাদীস এবং কুরআন ও অন্যান্য হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করার উদ্দেশে, যে দলীলগুলো প্রমাণ বহন করে যে, শিরক ব্যতীত অন্য কোন কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্’র দরুন কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। যদি তারা তাওবাহ্ করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবাহ্ ব্যতীত কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে তারা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ঐ মুহূর্তে কাফির হয়ে যাবেনা,ঐ মুহূর্তে মৃত্যু ঘটলে কাফির হিসেবে মারা যাবেনা।
সে মুসলিম হিসেবেই মারা যাবে,তবে তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ নয়,বরং অপূর্ণাঙ্গ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। তবে হুজুর আমার প্রশ্নটি অপরাধ করা নিয়ে ছিলনা, অপরাধ করার সময়ের অনুভূতি এবং বিশ্বাস নিয়ে ছিল; যে এরকম হঠাৎ প্রশংসাবোধ এবং আফসোস চলে আসলে ওইমুহূর্তে ঈমান চলে যাবে কীনা, কারণ কোনোসময় একটা হারাম কাজের জন্য প্রশংসা আসা মানে তো ওইমুহুর্তে ওই কাজটিকে দুষনীয় কিছু ভাবাই হচ্ছেনা। আরেকবার প্রশ্নটি দেখে যদি উত্তর দিতেন অনেক উপকার হত। জাযাকাল্লাহ খাইরান হুজুর।
by (565,890 points)
ঈমান চলে যাবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...