আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
গতকাল আমার কলেজের একটা প্রোগ্রামে আমাকে হঠাৎ করেই বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নাম এনাউন্স করে ফেলে ঐ মুহুর্তে আমার কোন প্রস্তুতি ছিলো না, এর আগেও কখনো বক্তৃতা দেওয়ার অভিজ্ঞতাও ছিলো না, কিন্তু ১০০+ মানুষের সামনে কথা বলতে না পারলে নিজের সাথে অন্যদের‌ও অসম্মান হতো, তো আমার বান্ধবী আমাকে বলেছিলো যে আমি যেন সবাইকে নামাজ পড়া, ইবাদত করা নিয়ে বলি , অন্য ধর্মের যারা তাদেরকে বলি তোমরাও নিজেদের ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করবা।

আমিও ঐ মুহুর্তে কি কথা বলবো খুঁজে না পেয়ে এসব বলে ফেলেছি তখন আমার মাথায় আসেও নি যে আমি তাদেরকে শিরকের দিকে বলে ফেলেছি এখন তারপর থেকে আমার খুব ভয় হচ্ছে আমার কি শিরকের গুনাহ হয়ে গেলো কি না বা আমার ঈমান নষ্ট হয়ে গেলো কি না।

আর হয়ে থাকলে এখন আমার কি করনীয়?
আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাইছি, চাচ্ছি

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।(সূরা আলে ইমরান-১৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলাম ব্যতিত বাদবাকী আর কোনো ধর্মই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু ধর্ম আসমানি এক সময় ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে মানুষের দ্বারা বিকৃতি হয়েছে, এবং কিছু ধর্ম মূল থেকে মানব রচিত। সুতরাং সবাইকে যার যার ধর্ম পালনের প্রতি উৎসাহ দেওয়া কখনো জায়েয হবে না। তবে যেহেতু আপনি অনিচ্ছাসত্ত্বে এমনটা বলে ফেলছেন, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। আপনি তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...