জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ عَلَى مَنْ نَامَ سَاجِدًا وُضُوءٌ، حَتَّى يَضْطَجِعَ، فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ، اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ
সেজদা অবস্থায় ঘুমালে অযু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে]। (মুসনাদে আহমাদ ২৩১৫ আবু দাউদ ২০২)
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেনঃ হযরত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইশার নামাযে আসতে বিলম্ভ হলে সাহাবীগন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার কারনে তাদের ঘাড়/গর্দানসমূহ নিচের দিকে ঝুলে পড়তো৷ এমতাবস্থায় তারা পুনরায় ওযু না করেই নামায আদায় করতেন৷ (আবু দাউদ হা,২০০)
الدر المختار مع رد المحتار: (141/1، ط: دار الفکر)
(و) ينقضه حكما (نوم يزيل مسكته) أي قوته الماسكة بحيث تزول مقعدته من الأرض، وهو النوم على أحد جنبيه أو وركيه أو قفاه أو وجهه (وإلا) يزل مسكته (لا) يزل مسكته (لا) ينقض وإن تعمده في الصلاة أو غيرها على المختار
(قوله: على المختار)۔۔۔۔۔۔۔قال في شرح الوهبانية: ظاهر الرواية أن النوم في الصلاة قائما أو قاعدا أو ساجدا لا يكون حدثا سواء غلبه النوم أو تعمده.
الھندیۃ: (12/1، ط: دار الفکر)
(ومنها النوم) ينقضه النوم مضطجعا في الصلاة وفي غيرها بلا خلاف بين الفقهاء۔۔۔۔۔ولا ينقض نوم القائم والقاعد ولو في السرج أو المحمل ولا الراكع ولا الساجد مطلقا إن كان في الصلاة وإن كان خارجها فكذلك إلا في السجود فإنه يشترط أن يكون على الهيئة المسنونة له بأن يكون رافعا بطنه عن فخذيه مجافيا عضديه عن جنبيه وإن سجد على غير هذه الهيئة انتقض وضوءه. كذا في البحر الرائق ثم في ظاهر الرواية لا فرق بين غلبته وتعمده
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজের সেজদায় কেহ ঘুমিয়ে গেলে সেই ব্যাক্তি যদি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ দিয়ে থাকেন,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা না হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে সে সালাম ফিরানোর আগেই ছুটে যাওয়া ফরজ ও ওয়াজিব কাজ গুলি আদায় করবেন।
আর যদি সেই ব্যাক্তি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ না দিয়ে থাকেন,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে পুনরায় উক্ত নামাজের কাজা করবেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ না হয়ে থাকে,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা হয়ে যায়,(সাধারণত সেজদায় এভাবে আধা ঘন্টা বা আরো বেশি সময় পার হয়ে গেলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঢিলেঢালা হয়ে যাওয়ারই কথা) সেক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবে।
পুনরায় অযু করে এবং এসে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
কোন রাকাতে আছেন,সেটি মনে না পড়লে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হলে পুনরায় নতুন করে নামাজ আদায় করবেন।
(আর যদি সুন্নাত তরিকায় সেজদাহ হয়ে থাকে,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি ঢিলেঢালা না হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবেনা। নামাজ চালিয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে রাকাত সংখ্যা মনে থাকলে তো কোনো সমস্যা নেই
আর রাকাত সংখ্যা মনে না থাকলে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে আমল করবেন।)