আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (13 points)
আসসালামুআলাইকুম
আমি বারো বছর বয়সে ওয়ারিশ সূত্রে নিসাব পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছিলাম মানে আমার নামে টাকা রাখা হয়েছে।কিন্তু শর্ত ছিল আঠারো বছর হয়ার আগে আমার হস্তগত করা হবেনা।

যখন আঠারো বছর বয়স হল, তখন আমার বোনের আঠারো বছর হয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় আমাকে। এরপর আমার বিশ বছর বয়সে টাকা বুঝে পাই।যদিও এগুলো সব আমার অভিভাবক এর হাতেই।
আমার তো কুরবানী অনেক বছর ওয়াজিব ছিল নাকি বুঝতে পারছি না!
আচ্ছা বিগত বছরের কথা বাদ দিলাম। বিশ বছরের পর দুইটা কুরবানী ঈদ গেল। আরো একটা কুরবানী ঈদ আসল বলে.. এবার কি আমার নামে দেয়া হবে কিনা জানিনা! আগের দুই বছরের কাযা কবে আদায় করতে পারব তাও জানিনা!টাকা সব ফিক্সড করে রাখছে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই -- আমি বললেও শুনবে কিনা জানিনা!

আমার কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(২)دين متوسط (মধ্যবর্তী ঋণ) ব্যবসায়িক পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে কারো উপর কোনো পাওন থাকলে, সে মালে যাকাত সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে দু'টি বর্ণনা পাওয়া যায়।(ক) শক্তিশালী দাইনের মত সেই মালে যাকাত ওয়াজিব হবে।তবে চল্লিশ নয় বরং দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর অতীতের সমস্ত বৎসরের যাকাত ওয়াজিব হবে।
(খ)পরবর্তী দুর্বল দাইনের মত অতীতের বৎসর সমূহের যাকাত ওয়াজিব হবে না।বরং যখন দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হবে, এরপর থেকে সেই মালে এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরেই যাকাত ওয়াজিব হবে।এবং এটাই গ্রহণযোগ্য মত।

(৩)دين ضعيف (দুর্বল ঋণ) ঐ মাল যা কোনো মালের বিনিময় হিসেবে ওয়াজিব হয়নি।যেমন মহরের টাকা।এই মাল হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের কোনো যাকাত দিতে হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1483


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পৈত্রিক সম্পত্তি দুর্বল ঋণের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, হস্তগত হওয়ার পূর্বে যাকাতের মত কুরবানিও ওয়াজিব হবে না। যখন আপনার হস্তগত হবে, আপনি যখন ব্যবহার করতে পারবেন, তখন থেকেই কুরবানি ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...