আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
১.সাধারণ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান একজন নারীর জন্য দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ফ্যাকাল্টির  যেকোনো  সাবজেক্টে পড়া জায়েজ হবে কি?
২.বর্তমানে সব বড় হাসপাতালগুলোতে গাইনি বিভাগে যথেষ্ট পরিমাণ নারী ডাক্তার আছে।এছাড়াও কোনো নারীর শরীরের কোনো অংশ অপারেশন করার সময় সেখানে একজন নারী ডাক্তার থাকলেও সাথে সাধারণত একজন পুরুষ ডাক্তার বা নার্স তো থাকেই।ফলে আল্টিমেটলি নারী ডাক্তার উপস্থিত থাকলেও রোগাক্রান্ত নারীর পর্দা লঙ্ঘিত হচ্ছেই।এমতাবস্থায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের  মেডিকেল কলেজে পড়া জায়েজ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (570,360 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। (ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 434 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সাধারণ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান একজন নারীর জন্য দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ফ্যাকাল্টির যেকোনো সাবজেক্টে পড়ার রুখসত বা অনুমোদন থাকবে। অবশ্যই উপরোক্ত শর্তাদির আলোকে। নতুবা জায়েয হবে না।
(২) হাসপাতাল সমূহের গাইনি বিভাগে যথেষ্ট পরিমাণ নারী ডাক্তার রয়েছে। তাছাড়া নারীদের শরীরে অপারেশন করার সময় সেখানে নারী ডাক্তারের পাশাপাশি পুরুষ ডাক্তার থাকার কারণে শিক্ষা গ্রহণের বৈধতায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং উপরোক্ত শর্তাদির আলোকে সহশিক্ষা পরিবেশেও শিক্ষা গ্রহণের অনুমোদন বা রুখসত থাকবে। হ্যা, কর্মস্থানকে ইসলামিকরণ করা আমাদের পৃথক একটি দায়িত্ব। সেই দায়িত্বও আমাদেরকে পালন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...