আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পবিত্রতা (Purity) by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর 

আমি পূর্বে আমার সমস্যার কথা বলেছিলাম এখানে https://ifatwa.info/65338/ । আইফাতোয়ার সাথে অনেকদিন যুক্ত থাকার কারণে আমি অনেক ব্যাপারে মাসআলা  জেনেছি। কিন্তুু জেনেছি ইমাম আবু হানিফার মাযহাব অনুযায়ী তেলাপোকা মারলে সাদা তরল বা তেলাপোকার পেশাব পায়খানা নাপাক। এখন হুজুর এই কারণে আমি অনেক সমস্যায় আছি। মাজহাব ফলো করার কারণে আমি নিজে তেলাপোকা মারি না কিন্তু ঘরের অন্য সদস্যরা তেলাপোকা মারে। তারা তেলাপোকা মারলে অনেক সময় আমি দেখতে পাই, অনেক সময় দেখতে পাই না আবার দেখতে পাইলেই যে সব সময় পরিষ্কার করতে পারব সেটাও সম্ভব না। কারণ পরিষ্কার করতে গিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে পানি দিয়ে ধুতে হয়। কখনো এগুলো পরিষ্কারের পর হাত ধুতে গেলে ছিটা পড়ে কাপড়ে অনেকসময়। কয়েক সপ্তাহ আগের কথা তখন ঘরে অনেক তেলাপোকা হয়ে যাওয়ায় তেলাপোকার ছোট ছোট বাচ্চা মেরে ফেলা হয় আমার সামনেই। আমি তখন তাদেরকে মানা করেছিলাম না মারতে তবে মারার পর আমি পরিষ্কার করি নাই। পরিষ্কার করতে গেলেও বড় একটা কিছু লাগতো। যদিও সে দিনের ঘটনার পর কয়েকবার মাত্র তেলাপোকা মরা অবস্থায় দেখেছিলাম। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করেছি। ডাইনিং আর পাকঘরেই বেশি তেলাপোকা মারা হয়, মারলে সাদা তরল বা তেলাপোকার পেশাব পায়খানা বের হয় এবং এসব রুমে বেশি পানি পড়ে এবং জুতার তলা থেকে সে পানি অন্য রুমে ছড়িয়ে যায়। কিন্তুু মাজহাবের এই বিধান মানতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ। অনেক বেশি পা ধুতে হয় আগের তুলনায়। পায়ের চামড়া এখন অনেক বেশি উঠে। ব্যায়াম করাও যাচ্ছে না। বর্তমানে শুধু এই কারণে বাথরুমেও অনেক টাইম লাগছে। কারণ আমার রুমে অন্যরা অনেক আসে এখন স্যান্ডেলে পাড়া দিলে বাথরুমে যাওয়ার পর স্যান্ডেলে ধুইতে হয়, তারপর বাথরুমের আশপাশ দিয়েও পানি প্রবাহিত করি যেন নাপাকি চলে যায়।  


 

১) জানতে চাই তেলাপোতা কোথাও মারা হলে সেই জায়গায় তেলাপোকার সাদা তরল বা পেশাব-পায়খানা বের হয়। এখন এইটা যদি কারো স্যান্ডেলের তলায় লাগে এবং সে যদি কোন পানি পড়ে আছে এমন অংশ পা দেয় তাহলে কি ওই পানি জায়গাটা নাপাক হয়ে যাবে? 

 

২) (১) নং অনুযায়ী নাপাক হলে এভাবে তো পুরো ঘরই নাপাক হয়ে যাবে বা ফ্লোরগুলো নাপাক হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পাক করতে কি করনীয় ?

 

৩) আমি তো তেলাপোকা মারি না অন্যরা মারে তাইলে আমি কেন এত কষ্ট করব? অন্যরা মারলে আমি বারবার পরিষ্কার করা আমার জন্য কষ্টকর। 


 

৪) মাজহাবের এই বিধান মানতে গিয়ে মানসিক এবং শারীরিক দুই দিক দিয়েই ভেঙে পড়েছি। সময় অনেক ব্যয় হচ্ছে। এখন মাজহাবের এই নিয়ম মানবো? এই নিয়ম ছেড়ে না দিলে মানসিক রোগে আকান্ত হতে পারি। এই নিয়ম মানা বাদ দিলে কি সালাত হবে? 

বিঃদ্রঃ তেলাপোকা মারলে সাদা তরল বা তেলাপোকার পেশাব পায়খানা প্রায় সময়ই বের হয়।

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান। 

1 Answer

+1 vote
by (559,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামদের মতে যেহেতু তেলাপোকার মধ্যে প্রবাহমান পরিমান রক্ত নেই,বা কোনো রক্তই নেই,তাই তেলাপোকার বিষ্ঠা নাপাক নয়। কাজেই শরীরে বা কাপড়ে বা অন্য কোথাও যদি তা লাগে তাহলে কোনো ক্ষতি নেই। 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ لَمْ يَرْ بَأْسًا بِالْعَقْرَبِ وَالْخُنْفِسَاءِ وَكُلِّ نَفْسٍ لَيْسَتْ بِسَائِلَةٍ

‘ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বিচ্ছু, গোবরে পোকাসহ যে সকল প্রাণিতে কোনো প্রবহমান রক্ত নেই সেগুলো পানি পড়লে কোনো সমস্যা মনে করতেন না।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৬৫২]
কিতাবুল আসল ১/৫৫,ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৩৪; আলবাহরুর রায়েক ১/৮৮; শরহুল মুনয়া পৃ. ১৬৪)

তবে কিছু ফুকাহায়ে কেরামদের মতে তেলাপোকার বিষ্ঠা নাপাক। সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১.২.৩.৪)
উক্ত বিষয় নিয়ে এতোটা চিন্তিত হতে হবেনা। হানাফি মাযহাবের অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামদের মতে এক্ষেত্রে ফ্লোর নাপাক হবেনা।

আপনার সালাত আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
...