জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ওয়াকফ পূর্ণ হয়ে গেলে তাহা আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবেনা।
ওয়াকফ করার পর তাহা বাতিল করা যায়না,বিক্রয় করা যায়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَصَابَ عُمَرُ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ عِنْدِي مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي بِهِ؟ قَالَ: إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا. فَتَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ أَصْلُهَا، وَلَا يُوهَبُ، وَلَا يُوَرَّثُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ، وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَابْنِ السَّبِيلِ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) খায়বারে একখন্ড জমি পান। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলেন, আমি খায়বারে এক খন্ড জমি পেয়েছি যা অপেক্ষা উত্তম সম্পদ ইতিপূর্বে আমি পাইনি। আপনি আমাকে এর কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে আসল জমি রেখে দিয়ে এর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ (ফসল) সাদাকাহ করে দাও। তখন থেকে ‘উমার (রাঃ) সিদ্ধান্ত নেন যে, আসল জমি বিক্রয় করা যাবে না, হেবা করা যাবে না এবং তাতে কোনো রূপ উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি তা দান করে দিলেন ফকীর, আত্মীয়স্বজন, দাস মুক্তকরণে, দাস মুক্তকরণে, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য।
(আবু দাউদ ২৭৭৮)
الفقہ الاسلامی و ادلتہ :
"إذا صح الوقف خرج عن ملك الواقف، وصار حبيساً على حكم ملك الله تعالى، ولم يدخل في ملك الموقوف عليه، بدليل انتقاله عنه بشرط الواقف (المالك الأول) كسائر أملاكه.
وإذا صح الوقف لم يجز بيعه ولا تمليكه ولا قسمته."
(الباب الخامس الوقف ،الفصل الثالث حکم الوقف جلد 10، ص7617، ط:دار الفکر)
সারমর্মঃ-
যদি কোনো জমিন ওয়াকফ করে দেয়া হয়,তখন ঐ জমিন ওয়াকফ কারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে আল্লাহর মালিকানায় চলে যায়। যখন ওয়াকফ শুদ্ধ হয়ে যায়,তারপর সেটা বিক্রয় করা,অন্যকে মালিক বানানো,তাহা বন্টন করা কোনোটিই জায়েজ নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি কোনো জমিন ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করে দেয়া হয়,তখন ঐ জমিন ওয়াকফ কারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে আল্লাহর মালিকানায় চলে যায়,ওয়াকফ পূর্ণ হওয়ার পর সেটা বিক্রয় করা,অথবা তার মধ্যে কোনো রদবদল করা, অথবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে এই ছুরত অবলম্বন করা যাবে,তাহা হলো ঈদগাহের নামে নতুন জমি ক্রয় করে নতুন জমিতে ঈদের নামাজ আদায় করবে,আর পূর্বের ওয়াকফ কৃত ভূমিতে মসজিদ নির্মান করবে।
★তাহা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ভূমি ঈদগাহের জন্যই রেখে দিতে হবে,সেটা বিক্রয় করা যাবেনা। প্রতি বছর সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজ সেখান হতে বাতিল করা যাবেনা।
ঈদগাহের জন্য অন্যত্রে জায়গা ক্রয় করলে সেখানে ঈদের জামাত আলাদা ভাবে করতে হবে। তবে পূর্বের ওয়াকফ কৃত ভূমিতে ঠিকই ঈদের জামাত আদায় করতে হবে।