জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ
আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন, কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)
কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ
আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
চোখে আইলাইনার ব্যবহার করা যাবে।তবে পর-পুরুষের সামনে এগুলো ব্যবহার করে যাওয়া যাবে না।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হ্যাঁ, আপনি উক্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত প্রডাক্ট ব্যবহারের অযোগ্য হলে ফেলে দিবেন। আর ব্যবহারের যোগ্য হলে তাহা কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।
(০৩)
এটা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা।
শরীয়তে এমন কোনো কথা নেই।
(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
তদুপরি দ্বীনের দাওয়াত হিসেবে৷ আপনি তাদেরকে পূর্ণ পর্দা করে আসতে বলবেন।
(০৫)
শরীরে নাপাকির কোনো চিহ্ন/গন্ধ বা না পেলে সেক্ষেত্রে গোসল হবে।
এমতাবস্থায় করনীয় হলো গোসলের আগে ফ্লোরে পানি ঢেকে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
(০৬)
হাদীসের গ্রন্থ গুলোতে উক্ত হাদীস খুজে পাইনি।