আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
ভারতের এক ইসলামবিদ্বেষী সিনেমাতে দেখানো হয়েছে একজন মুফতি বলছে, "স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় থাকলেও স্বামীর ডাকে তাকে সারা দিতে হবে।" কথাটা কতটুকু সত্য সে সম্পর্কে জানতে পারলে উপকারিত হব।
আমি জানতে চাই যে স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় থাকলে তার সাথে যৌন সঙ্গম করা হারাম কিনা।

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/77059/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হায়েয ও নিফাস ব্যতীত সর্বাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যায়; ইসলাম এ ব্যপারে নিষেধ করে নি। আল্লাহ তাআলা বলেন,

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। (সূরা বাক্বারাহ ২২৩)

তবে এ নাজুক সময়ে স্ত্রীর শারীরিক-মানসিক সুুস্থতার প্রতি যত্নশীল-দৃষ্টি রাখা স্বামীর কর্তব্য। তাই এই সময়কালে যৌন আসন সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। 

যদি এই সময়কালে মিলন নিরাপদ ও সহজ মনে না হয় তাহলে স্বামীর উচিত কিছুদিন ধৈর্য্য ধারণ অথবা এমন হালকাভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে সহবাস করা; যাতে স্ত্রীর কষ্ট না হয় এবং স্বামীরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। 

তবে যে সকল নারীর জরায়ু দুর্বল বলে চিকিৎসকগণ সাক্ষ্য দিবেন তাদের সাথে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ও শেষ মাসে মিলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে। কারণ এতে গর্ভপাত ঘটা বা সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে সহবাস করলেও যদি বিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক তার/গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে,এমতাবস্থায় স্বামী হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো ভাবে বীর্যপাত নয়,বরং সহবাসের মাধ্যমে বীর্যপাত করার জন্যই স্ত্রীকে ডাকলে তার ডাকে সারা দেয়া আবশ্যক নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ألا وَاسْتَوصُوا بالنِّساءِ خَيْراً، فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٍ عِنْدَكُمْ

শোনো! তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। কেননা, তারা তোমাদের নিকট বন্দী। (তিরমিযী ১১৬৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...