জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ভিনেগার , টক তরল যা অসংখ্য পাতলা পাতলা গাঁজন দ্বারা তৈরি হয় মদ্যপ তরল একটি তরল ধারণকারী এসিটিক এসিড . ভিনেগার বিভিন্ন উপকরণ থেকে উত্পাদিত হতে পারে: আপেল বা আঙ্গুর (ওয়াইন বা সিডার ভিনেগার); মল্টেড বার্লি বা ওটস (মাল্ট ভিনেগার); এবং শিল্প অ্যালকোহল (পাতিত সাদা ভিনেগার)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ভিনেগার খাওয়া হালাল হবে। যদি তা আপেল, আঙুর ইত্যাদি হালাল ফলমূল থেকে প্রস্তুতকৃত হয়। তবে যদি তা মদ হতে তৈরি হয়, তাহলে তা খাওয়া যাবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي هُبَيْرَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ، سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَيْتَامٍ وَرِثُوا خَمْرًا، قَالَ: أَهْرِقْهَا قَالَ: أَفَلَا أَجْعَلُهَا خَلًّا؟ قَالَ: لَا صحيح
আবূ তালহা রযিয়াল্লাহু আনহু নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কতিপয় ইয়াতীম সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, তারা উত্তরাধিকার সূত্রে মদ পেয়েছিল। তিনি বললেন, ‘তা ঢেলে ফেলে দাও। আবূ তালহা রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি কি একে সিরকায় রূপান্তরিত করতে পারব না? তিনি বললেন, না’
(আবূ দাঊদ, হা/৩৬৭৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৮৩; মুসনাদে দারেমী, হা/২১৬১)।
এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, মদ বা হারাম বস্তু দ্বারা তৈরিকৃত ভিনেগারসহ যেকোনো পানীয় পান করা নিষিদ্ধ।
(০২)
গ্লুটেন হলো এক ধরনের প্রোটিন যেটা মূলত গম, রাই, বার্লি ইত্যাদিতে থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব খাবারে, যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপ্স, সস, বিয়ার এই সব খাবারে গ্লুটেন থাকে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জানা মতে ময়দায় যে গ্লুটেন থাকে এইটা হালাল।
(০৩)
সেক্ষেত্রে তওবা করবেন।
(০৪)
এক্ষেত্রে যদি আপনার মালিকানায় সামান্য রুপা বা দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত অল্প টাকা হলেও থাকে,সেক্ষেত্রে বছর পূর্ণ হলে যাকাত ফরজ হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে তাকে সংশোধন করার নিমিত্তে বা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বা কোনো ভাবে বিচারের দাবিতে পরস্পর মাজলুমদের আলোচনা জায়েজ।
(০৬)
এতে শরীয়াহ বিরোধী কিছু না থাকলে ও আইনত কোনো সমস্যা না থাকলে সেক্ষেত্রে সেই বোনাস গ্রহন করা যাবে।