আসসালামু আলাইকুম ।
১) শরিয়তের সকল বিষয় নিয়ে আমার জ্ঞান নেই , তাই জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেতে আলেমদের সোহবতে থাকতে বলে। আর আমার বিষয়গুলো এমন যে তা এখানে /অনলাইন প্লেটফরমে লিখে বুঝানো অনেক সময় সাপেক্ষ হয়ে যায় এবং আমার অবস্থাটাও বুঝিয়ে উঠতে পারিনা ক্লিয়ারভাবে।
তাই অফলাইনে আলেম/মুফতিদের সাথে যোগাযোগ করতে চাই কিন্তু আমি মেয়ে মানুষ কিভাবে তাদের খোঁজ পাবো? আমি আমার ছোট ভাইয়ের মাদ্রাসার মুফতির কাছেও গেছিলাম উনি উত্তর দিলেও তা ব্যাখ্যাসহ দেন না তাছাড়া উনি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তাই অতো সময় করে আমার কথাও শুনার সময় হয় না,তাই উনার উত্তরে আমি সেটিস্ফাই হতে পারিনা। এছাড়াও আমাদের এখানে চট্টগ্রামের বিখ্যাত আলেম মুফতি এযেহারের মাদ্রাসাও আছে কিন্ত ওখানেও আমার জানা নেই কে আমাকে সাহায্য করতে পারবে, আমি পর্দা করে গেলেও সেখানে কোনো মুফতির খোঁজ নিতে আমার লজ্জা কাজ করে। তাছাড়া আছে, মসজিদের ইমাম কিন্তু আমি জানি না তিনি কেমন ইমাম মানে বিজ্ঞ,হক্কানি,সকল বিষয়ে জ্ঞান আছে কিনা? আর উনাকে কেমনে পেতে পারি তাও জানিনা, মসজিদে মেয়ে মানুষের ঢুকতে লজ্জাও লাগে।
এমতা অবস্থায়, আমার স্থানীয় ঠিকানা অনুযায়ী কোন আলেমের সোহবতে যাব?? আমার ঠিকানা - লালখান বাজার, চট্টগ্রাম। এ ঠিকানা / চট্টগ্রাম অনুযায়ী কোন আলেমের সোহবতে যেতে পারি পরামর্শ দিবেন দয়া করে।।।।
২)আমার আম্মু বেশিরভাগ সময় জুলুম করে আমাদের উপর। অর্থাৎ, মারে না কিন্তু কথাতে,উঠতে - বসতে ঝামেলা সৃষ্টি করে, ঝগড়া বাদিয়ে পেলে স্বাভাবিক বিষয় নিয়েও। ঘরে তখন ফেতনা আর ফেতনার মধ্যে থাকতে হয় । আমি চুপ থাকার চেষ্টা করি।যাতে উনি যা করার করুক আমি যেন নিজেকে গুনাহগার না বানিয়ে ফেলি। তবুও মাঝে মাঝে ধৈর্য হারা হয়ে মুখে মুখে কথা বলে ফেলি আবার অপরাধবোধ করি। এমন ফেতনার মধ্যে যেতে হয় অনেক মুহূর্ত আর আমার অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
তখন এমন পরিস্থিতিতে আমি আমার নিকট বান্ধবীদের শেয়ার করি এগুলো।এখন এটা কি আমি আম্মুর গীবত করছি??? গুনাহ হবে??? আমি শুনেছিলাম কষ্ট পেলে সেই কথাগুলো অন্যকে শেয়ার করা গিবত হয় না। সেটা কি সত্য???