আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আমার আম্মু পরকীয়া করে।এ নিয়ে আগে অনেক ঝামেলাও হইছে।তারপর অনেক দিন, প্রায় ২/দেড় বছর এর মতো অফ ছিলো। কিন্তু আবার এখন সেটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাই একবার আম্মুকে সেটা বুঝানোর চেষ্টা করি শান্তভাবে। তবে তিনি রেগে আরো আগুন হয়ে গেছে,হয়তো আমরা ছোটো উনার আর সন্তান তাই তেমন কথাগুলো মানতে পারেননি, আরো আমার ছোট বোনকে মারছেও কারণ ও একটু রেগেও কথা বলছিলো। আর আমরা কিছু বলিনি এরপর হতে এ নিয়ে। একদিন নানু আসলে তাকে বুঝাতে বলি,নানুকেও তেমন পাত্তা দেইনি আরও বলে আমার আব্বু পরকীয়া করলে আমরা আব্বুকে কেন বলিনা। উলেখ্য যে, আব্বু ও একজনের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলো বাট বর্তমানে আছে কিনা নিশ্চিত নয়। আর উনি(আম্মু) বলে ছেলেটার সাথে কোনো খারাপ কিছুতে নেই মানে এমনে জাস্ট কথা বলে মানে ওয়াটস এপে চ্যাট করে, ।অথচ আমরা জানি কেমন কথা হয়,পিকও দিতে দেখছি।কিছু দিন বন্ধ ছিলো বাট আবার এখন চলছে। তাছাড়া তারা আগেও অনেকবার পরকীয়া করছিলো কিন্তু সেটা আমরা জানি আর কেঊ না,একজনেরটা আরেকজন জানতে পারেনি।কিন্তু লাস্ট আব্বু যে মহিলাটার সাথে ছিল সেটা জানার পরে ঝাামেল হয় আর আব্বু  আম্মুরটা তদন্ত করে আম্মুর পরকীয়াটা বের করে ফলেই তখন ডিভোর্স এর দিকে গিয়েছিল। এখন আলহামদুলিল্লাহ আগে থেকে অনেক ঠিক বাসার অবস্থা। তবে তারা আমাদের জন্ন্যে হয়তো সংসার করছে,তাদের দাম্পত্য মাঝে মাঝে ভালো মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায় আবার পেছনে পরকীয়া ও চালু রাখে।   আমরা না পারছি বাসায় এগুলো দেখতে না পারছি কাউকে বলতে। কারণ লজ্জায় কি বলবো কাকে, আর এর আগে আমাদের পরিবারে অনেক বড় ঝামেলাও হইছে এমনকি ডিভোর্স এর দিকে, আর এখন সমাধানও করতে গেলে ঝামেলাই বেশি হবে হয়তো। আর তারা বা আম্মু কারো কথা ধরবে সেটা মনে হচ্ছে না মানে কারো কথায় শোধরাবে সেটা নিশ্চিত নয়, হতে পারে আরও ক্ষোভ জন্ম নিবে।
এখন, সন্তান হিসেবে বা মুসলিম হিসেবে আমি কি করবো???? আমার খুব রাগ উঠে এসব দেখলে আর ঘৃণাও হয়, অসহ্য লাগে, এই অবস্থা  দেখে থাকতে পারছি না। শরিয়ত অনুযায়ী নির্দেশনা দেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (544,470 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে  এসেছে

أن عبد الله بن عمر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول ( كلكم راع وكلكم مسؤول عن رعيته الإمام راع ومسؤول عن رعيته والرجل راع في أهله وهو مسؤول عن رعيته والمرأة راعية في بيت زوجها ومسؤولة عن رعيتها والخادم راع في مال سيده ومسؤول عن رعيته

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যক্তিই দায়িত্বশীল। প্রতিটি ব্যক্তিই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ইমামগণ দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষগণ তাদের পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। মহিলাগণ স্বীয় স্বামীর গৃহের দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। দাস-দাসীগণ দায়িত্বশীল তার মনিবের সম্পদের ব্যাপারে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।

(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৫৩
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৮২৮
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৪৮৯
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৯৩০
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৪৯৫
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫৩৭৭
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৯৫১
মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৭৪৫
মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১০৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা মা বাবাকে যথাযথ ভাবে বুঝাবেন,পরকালের শাস্তির ব্যাপারে বুঝাবেন,নিজের পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে তাদের বুঝাবেন।

আপনার বাবা যেহেতু আপনার মার অভিভাবক। 
তাই তার উপর আবশ্যক হলো তিনি আপনার মাকে অবশ্যই এই পরকিয়া থেকে হটানোর যথাযথ চেষ্টা করবেন।

বুঝাতে হবে। ফোনে কথা বলা বন্ধ করতে হবে,প্রয়োজনে ফোন নিয়ে নিতে হবে। সেই ছেলের সাথে কথা বলা,চ্যাটিং করার যাবতীয় রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

আপনার বাবার আরো করনীয় জানুনঃ- 

আপনার মার জন্য করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...