আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমি বিবাহিত। আমার স্ত্রী আমাকে অত্যধিক পরিমাণ সন্দেহ করে।আমার কিছু খারাপ অতীত আছে যেটা স্ত্রীকে আমি জানাইসিলাম না বিয়ের আগে।ক্লাসমেট কিছু মেয়েদের সাথে পাশাপাশি রোল হওয়ায় কথাবার্তা হতো মেসেঞ্জারেও কথা হতো।অতীতে এরকম অনলাইনের কিছু সমস্যা আমার ছিল।আল্লাহ মাফ করুক আমাকে।স্ত্রী ফোন চেক করে অতীত জানতে পারে,আবার আমাকে অতীতের অনেক বিষয় এ অনেক জোরাজোরি করে বলতে।আমি বলতে বাধ্য হই।,রাগারাগি করে আমি আলহামদুলিল্লাহ সেগুলো ছেড়ে দেই,এখন একজন মেয়ের সাথেও কথা বলিনা,হোক অনলাইন আর অফলাইনে।সে আমার ফোন ঘাটাঘাটি করে অনেক তথ্য উদ্ধার করে আমার অতীত বর্তমান এই বিষয় এ।তো সব মিলিয়ে তার ধারণা আমি দৃষ্টির খিয়ানত সবসময় করি।আসলে আল্লাহ মাফ করুক আমি এতটা মেইনটেইন করতাম না এখন যেরকম করি আলহামদুলিল্লাহ। তো আয়ত্ত করতে কষ্ট হয়েসে তবুও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সহজ করেসেন।তো স্ত্রীর সাথে বাইরে গেলেই মোটরসাইকেল এ সে নানান প্রশ্ন করে কোন নারী সামনে দিয়ে গেলে অথবা পাশ দিয়ে কোন মোটরসাইকেল এ নারী গেলে।আমি মহিলার দিকে দৃষ্টি দেইনা।কিন্তু নরমালি অনেক বুঝতে পারি যে এটা মহিলা। স্ত্রী এই বিষয়টি সহ্য করতে পারেনা।আমি কিভাবে বুঝলাম যে এটা মহিলা।স্ত্রীর ধারণা আমি নিশ্চয়ই সেই মহিলার দিকে মনযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করসি সে কিভাবে আছে,কী পরিহিত অবস্থায় আছে।এইসব বিষয় নিয়ে আমাকে অত্যধিক ঘাটাঘাটি সে আমাকে করে।

আসলে জানতে চাই রাস্তায় চলাচল এর ক্ষেত্রে যদি আমি না তাকিয়ে, দৃষ্টি না দিয়ে বুঝতে পারি মহিলা তাহলেও কী আমার গুনাহ হবে?আর স্ত্রীর এই বিষয় টি নিয়ে অত্যধিক সন্দেহ পোষণ, রাগারাগি করা কী ঠিক??
আরেকটি সেটি হলো রাস্তায় চলাচল করতে গেলে হঠাৎ মহিলার কণ্ঠ কানে চলে আসলে করণীয় কী?বাজার করতে গিয়ে একদিন এরকম হয়েসিল,স্ত্রী জিজ্ঞাসা করায় বলেসিলাম যে এক মহিলা মরিচ চেয়েছিল,স্ত্রীর ধারণা আমি তার কথায় কান দিয়েসি যার জন্য বলতে পারলাম,মানে আমি কানের যিনা করেসি।এটা নিয়ে অনেক রাগারাগি করে,আমাকে বারবার জিজ্ঞাসা করে কোন মহিলার দিকে এটেনশন দিসি কিনা,এটা আমি স্বামী হিসেবে কীভাবে দেখব ব্যাপারটাকে??এগুলো নিয়ে সংসারে অত্যধিক সমস্যা হচ্ছে। দয়া করে উত্তর দিবেন,শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ؛ فَإِنَّمَا  لَكَ الْأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ “

হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ  হযরত আলী রাঃ কে বলেন, হে আলী! [সহসা] একবার দেখার পর পুনরায় [কোন বেগানা নারীকে] দেখো না। কারণ, তোমার জন্য প্রথমবারে অনুমতি রয়েছে [যখন তা অনিচ্ছায় হয়ে যাবে], কিন্তু দ্বিতীয়বারের অনুমতি নেই।
 {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৯৭৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭৫১, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪৯, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৭৭৭}

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ، ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلَّا أَحْدَثَ اللهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حَلَاوَتَهَا “

হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে কোন মুসলমান কোন নারীর সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, অতঃপর সে নিজ চক্ষু নিচু করে নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক ইবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার স্বাদ পায়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২২৭৮}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রাস্তায় চলাচল এর ক্ষেত্রে যদি আপনি যর না তাকিয়ে, দৃষ্টি না দিয়ে বুঝতে পারেন যে মহিলা সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

স্ত্রীর এই বিষয় টি নিয়ে অত্যধিক সন্দেহ পোষণ, রাগারাগি করা ঠিক নয়।

অনিচ্ছাকৃতভাবে একবার নজর দেয়ার ক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে একবারও নজর দেয়া যাবেনা।

রাস্তায় চলাচল করতে গেলে হঠাৎ মহিলার কণ্ঠ কানে চলে আসলে সেক্ষেত্রে সেদিকে মনোযোগ দিবেননা।
অপ্রয়োজনে সেখানে থাকবেননা।
প্রয়োজন না থাকলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
জাঝাকাল্লাহু খাইরান উস্তাদ।বারাকাল্লাহু ফিক।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...