আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমার বিয়ে হয়েছে ৬ বছর ছয় বছরে আমার বেবি হয়েছে চারটা কিন্তু একটা বেবি ও বেচে নেই আমার জিনের সমস্যা  সমস্যা আছে। আমার সব সময় ৮ মাসে ডেলিভারি হয়ে যায়। শেষবার ডেলিভারি হওয়ার পর তিনদিন থেকে আমার হাজব্যান্ড বলছে সে বিয়ে করবে আমি বললাম আমার কি দোষ, বেবি না বাঁচা এটাতো আল্লাহর ইচ্ছা। উনি বারবার করে বলছে তোমার কোন দোষ নেই। আমার একটা জীবন আছে। আমি ওনাকে পায়ে ধরে রিকুয়েস্ট করেছিলাম এ কথাটা যেন শ্বশুরবাড়ির কাউকে না বলে কিন্তু উনি আমার কথা শুনেনি সবাইকে বলে বেরিয়েছে এবং আমার শাশুড়ি আব্বুকে ফোন দিয়ে অনেক গালাগালি করে আমার বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণে। এসব কিছুর কারণে অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম আল্লাহকে ডাকছিলাম আর কি করবো বুঝতে না পেরে হঠাৎ করে আমার ননদ বলছে চিকিৎসা করেন আমি জানি আপনার সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য যাদু করা হয়েছে তাই আমার ভাই এরকম করছে, এটা বলাতে আমি আরও ভেঙ্গে পরি এবং আমি একজন চিকিৎসকের কাছে যাই, যাওয়ার পরে উনি আমার সংসারের জন্য দেখে এবং বলে সংসার ভাঙ্গনের দিকে, জাদু আছে, চিকিৎসা করতে হবে আমি বললাম কি করতে হবে, উনি বলল, জামাই বশ করার , বসের তাবিজ নিতে হব,  হুট করে নিয়ে নিলাম, এতটা পেরেশানিতে ছিলাম বুঝতে পারিনি, এটা যে এত বড় একটা গুনাহ। পানিতে ডুবিয়ে জামাইকে খাওয়াতে হবে,তারপর  ওটা নিয়ে আমার গলায় রাখতে বলেছিল, আমি তাই করেছিলাম একদিন দুইদিন পরে আমার এত অপরাধ কাজ করছে আমি ঘুমাতে পারছি না, খাইতে পারছিনা, তখন  আমি তাবিজটা খুলে ফেলে দিলাম, আমি তো পানি পানিতে চুবিয়ে উনাকে পানি খাওয়াই ফেলেছ,  এখন আমি কি করবো? আমাকে একটু কিছু বলেন প্লিজ,  আমি অনেক তওবা করেছি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি আর কখনো করবো না বলেছি কিন্তু আমার ভিতর এতটা অপরাধ কাজ করছে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালাম তথা কুরআনের আয়াত ও হাদীসের ইবারত দ্বারা চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে। 

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ -
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 226 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনের আয়াত ও হাদীসের অংশ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করা জায়েয। ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে নেওয়া উচিৎ ছিলো যে, সে কি দ্বারা আপনাকে তাবিজ দিচ্ছে। যদি সে বৈধ কালাম দ্বারা দেয়, তাহলে নেক উদ্দেশ্যে আপনার জন্য ঐ তাবিজ ব্যবহার করা জায়েয হবে। যদি সে কুফরি কালাম ব্যবহার করে তাবিজ দেয়, তাহলে আপনাকে তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...