বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) হুরমতে মুসাহারাম তিনভাবে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে, যথা- (১)নিকাহ (২)ওতি বা সহবাস (৩)দাওয়ায়ীয়ে ওতি বা সহবাসের দিকে আকৃষ্টকারী বিষয় সমূহ যেমন,(ক)স্পর্শ,(খ)লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টি।
নিকাহ দ্বারা হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে সমস্ত উম্মত একমত।বিবাহ ব্যতিত শুধুমাত্র ওতি বা সহবাস দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো হল,
(১) সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1233
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র লিঙ্গের দিকে সহবাসের নিয়তে কামভাব সহকারে দৃষ্টিপাত দ্বারাই হুরমত প্রমাণিত হবে। লিঙ্গ ব্যতিত সতরের অন্য কোনো স্থানে দৃষ্টি পড়লে অথবা সহবাস ও কামভাবের নিয়ত ব্যতিত লিঙ্গের দিকে দৃষ্টি পড়লে হুরমত প্রমাণিত হবে না।
(২) রাস্তায় চলাচলের সময় যাতে পুরুষের সাথে ধাক্কা না লাগে, সেজন্য সকল প্রকার চেষ্টাপ্রচেষ্টার দ্বারস্থ হতে হবে। এবং অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত ঘর হতে বাহির হওয়া যাবে না। যদি অতি জরুরী প্রয়োজনে বা শিক্ষাঙ্গনে যাওয়া আসার সময় শত সতর্কার পরও কখনো পরপুষের সাথে ধাক্কা লেগে যায়, তাহলে গোনাহ হবে না। হ্যা, নিয়মিত ধাক্কা লাগলে তখন অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩) কেউ যদি নামাজ না পড়ে, তাকে বিয়ে করা নাজায়েয বা হারাম নয়। কেননা প্রত্যেককে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব দিতে হবে।হ্যা, উত্তম হল, দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করা। কোনো একজন ক্রীড়া শিক্ষককে বিয়ে করা নাজায়েয হবে না।