আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম,  আমার আব্বু প্রতিবছর আমার চাচা কিংবা চাচাতো ভাইদের  সাথে কুরবানি দেয়। কিন্তু আমার চাচা বা চাচাতো ভাইয়েরা নামাজের ব্যাপারে গাফেল। তারা শুক্রবার ছাড়া অন্যদিনগুলোয় নামাজ পড়েনা বা পড়লেও খুবই কম৷ আর কুরবানি দেয়ার বিষয়ে তাদের নিয়তও আমার কাছে পরিষ্কার লাগেনা। অর্থাৎ পাড়ার সবার মধ্যে সেরা গরু কিনবে/ গরুতে মাংস বেশি হতে হবে/ অমুকের গরু থেকে আমাদের গরু ভালো হতে হবে। আল্লাহ ভালো জানেন, আমার কাছে এরকম মনে হয়েছে। আমি আমার আব্বুকে নিষেধ করেছি সেফ জোনে থাকতে চাচাদের সাথে কুরবানি না দিয়ে নামাজী মানুষদের সাথে দাও। কিন্তু আব্বু চাচাদের ছাড়া অন্যকারো সাথে ভাগে কুরবানি দিতে চায় না। কারণ এতে তার ভাইয়েরা রাগ করবে,মন খারাপ করবে, তাকে কথা শুনাবে। দুঃখের বিষয়, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ  মানুষ বেনামাজী,কুরবানীর বিষয়ে সবার-ই নিয়তে সমস্যা থাকতে পরে বলে আমার ধারণা। ৫-৬টা পরিবার ছাড়া কেউ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা তেমন একটা। আব্বুকে এটাও বলেছি যে, গরু ভাগে না দিয়ে একটা ছাগল একা কুরবানী দাও। কিন্তু আব্বু সেটাও দিবেনা।

শায়েখ, আমার এমতাবস্থায় আব্বুর কুরবানি কি জায়েজ হবে? একজন কুরবানি দিলে সেটা কি পরিবারের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়?  যেমন আব্বুকে নিষেধ করার পরও যদি আমাদের কথা না শুনে তার ভাইদের সাথে কুরবানি দেয় তাহলে এতে কি আব্বু বাদে আমাদের পক্ষ থেকেও কুরবানি আদায় হবে না?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) (শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/18148

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হারাম উপার্জন দ্বারা যদি কেউ শরীক হতে চায়, তাহলে তার সাথে কুরবানি দেওয়া যাবে না।কুরবানি দিলে কারো কুরবানি আদায় হবে না।তবে বেনামাজি কারো সাথে কুরবানির বেলায় এমন বিধান প্রযোজ্য নয়। হ্যা, নামাজি দেখে কুরবানি দেওয়া অবশ্যই উত্তম ও উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...