আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আমি পড়াশোনার জন্য স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকি। যদিও আমি নিজে পড়াশোনা করতে চাই না। তার আদেশে বাধ্য হয়েই আমাকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।  এখন আমি যখন ২-৩ মাস পর ছুটি পাই তখন তার কাছে যাই। অনেক সময়ই অল্প দিনের ছুটি থাকে আর তখন আমার হায়েজের সময়ও থাকে। এক্ষেত্রে আগে থেকেই ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে কি স্বামীর সাথে সহবাস করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা-শারিরিক ক্ষতি থেকে কখনো মুক্ত নয়।এর একটি পারিপার্শ্বিকতা অবশ্যই  থাকবে।কেননা যেখানে আল্লাহ নারীদের জন্য হায়েযকে রেখেছেন,নিশ্চয় একে বন্ধ রাখলে শারিরিক ক্ষতি হবে।

তবে বিশেষ আ'মল যেমন হজ্ব-উমরা এবং এ'তেক্বাফের জন্য উলামায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন।হজ্ব ফরয তাছাড়া হজ্ব-উমরার জন্য মানুষ অনেক দূরদূরান্ত থেকে সফর করে যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1419 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা ক্ষতি থেকে মুক্ত নয়। তাই পিল সেবনের দিকে না এগিয়ে বরং আপনার স্বামীকে আপনার ওখানে তখনই যাওয়ার জন্য বলবেন, যখন আপনার মাসিক থাকে না। অথবা আপনি তখনই আপনার স্বামীর নিকট যাবেন, যখন আপনার মাসিক থাকে না। যদি এগুলোর কোনোটিই সম্ভব না হয়, তাহলে হঠাৎ আপনি পিল সেবন করে মাসিক বন্ধ রাখতে পারবেন। পিল খাওয়ার পর বাস্তবিকই যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখন আপনার জন্য স্বামীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...